বন্যা পরিস্থিতিতে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষিকে কেন্দ্র করেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন এগিয়ে যাবে। সে লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
আজ শনিবার তার সরকারি বাসভবন থেকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘কৃষিমন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিলের অর্থ সহায়তা’ বিতরণ অনুষ্ঠানে অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বন্যা ও করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ধনবাড়ী উপজেলার হতদরিদ্র ১৫৭টি ব্যক্তি বা পরিবারের মাঝে ৪ লাখ টাকা অর্থ সহায়তার চেক প্রদান করা হয়। এ ছাড়া গৃহনির্মাণের জন্য ৬০ জনকে ঢেউটিন ও ৬০ জনকে ৩ হাজার টাকা করে প্রায় ২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়।
কৃষিমন্ত্রীর পক্ষে এসব সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করেন ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা। এ অনুষ্ঠানে ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা সিদ্দিকা, পৌর মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন, উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগামী আমন ও রবি মৌসুমে অধিক ফসল উৎপাদনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যাতে করে এদেশে খাদ্যের কোন ঘাটতি না হয়। খাদ্যের অভাবে একটি মানুষকেও যাতে করে না খেয়ে থাকতে হয়। কৃষি মন্ত্রণালয় এলক্ষ্যেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী শুক্রবার অনলাইনে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘কৃষিমন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিলের অর্থ সহায়তার’ আওতায় মধুপুর উপজেলার হতদরিদ্র ২৭৮টি পরিবারের মাঝে ৬ লাখ টাকার অর্থ সহায়তার চেক বিতরণ করেন।
কৃষিমন্ত্রীর পক্ষে এসব চেক বিতরণ করেন মধুপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু। এ ছাড়া মন্ত্রী উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা টেস্টের স্যাম্পল সংগ্রহের জন্য একটি ‘মোবাইল গাড়ির’ উদ্বোধন করেন।
এ সময় মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরা, পৌরসভার মেয়র মাসুদ পারভেজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এড. ইয়াকুব আলী, উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।