ইউরোপ-আমেরিকার পর করোনার পরবর্তী ‘হটস্পটে’ পরিণত হয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত। দেশটিতে একদিনে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭শ করোনা রোগীর। আক্রান্ত হয়েছেন আরও প্রায় ৩৫ হাজার।
আজ শনিবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৬৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ২৭৩ জনে। একই সময়ে দেশটিতে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন আরও ৩৪ হাজার ৮৮৪ জন। মোট করোনা শনাক্ত দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৭১৬ জন।
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় ‘কেরালা মডেল’ বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত রুখতে সে রাজ্যের সরকারের রণকৌশলের সাফল্যের প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
তবে এই সাফল্যের মধ্যেই উদ্বেগের খবর রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে শুক্রবার কেরালা সরকার জানিয়েছে। তিরুবনন্তপুরম জেলার উপকূলবর্তী তিনটি এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। আর তাতেই শঙ্কিত বিভিন্ন মহল।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও প্রায় ৮০০ জন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে কেরালায়। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতে করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন ৩৫ লাখ মানুষ! শুধু তাই নয়, করোনার সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুমিছিলও দ্রুত দীর্ঘ হবে।
সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকেই ভারতে মৃত্যু হতে পারে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের। তবে, দেশটিতে যদি করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর লাগাম টেনে ধরা যায়, তাহলে হয়তো কিছুটা কমানো যেতে পারে এই সংখ্যা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, খুব ভালোভাবে সংক্রমণ রোখার চেষ্টা হলেও ভারতে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আক্রান্ত হতে পারেন ২০ লাখ মানুষ। কিন্তু সে সময়ও দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা থাকবে প্রায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার। খুব কম করে হলেও মৃত্যু হবে ৮৮ হাজার মানুষের।
খবর দ্য হিন্দু