সোমবারও বৃষ্টি, চলবে পুরো জুন

সোমবারও বৃষ্টি, চলবে পুরো জুন

কয়েকদিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবারও দেশের বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টি হবে। সকালে এরই মধ্যে এক পশলা বৃষ্টিপাত হয়ে গেছে। আগামী কয়েকদিন একটানা বর্ষণ অব্যাহত বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

সোমবার মাত্র আষাঢ় মাসের ১১ তারিখ। আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাস বৃষ্টিপাতের স্বাভাবিক ধারা বজায় থাকবে বলে ধারণা করা যায়।

আবওহাওয়া অফিসের ‍পূর্বাভাস, বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারি, কোথাও কোথাও অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তিন সমুদ্রবন্দরকে দেওয়া তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চলতি জুন মাসের বাকি সময়েও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় মৌসুমী বায়ু এখনো প্রবল রয়েছে। এরই প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

অধিদফতর আরও জানায়, সোমবার রাজশাহী, রংপুর চট্টগ্রাম, ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।

আবাহাওয়ার অধিদফতরের তথ্যমতে, রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন রাঙ্গামাটিতে ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রোববার রাজধানীসহ দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় ৫ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ৪০ মিমি, টাঙ্গাইলে ২২ মিমি, ফরিদপুরে ৭ মিমি, মাদারীপুরে ১৯ মিমি, চট্টগ্রামে ৬৯ মিমি, সন্দ্বীপে ৩৭ মিমি, কুমিল্লায় ১৪ মিমি, চাঁদপুরে ৩১ মিমি, মাইজদীকোর্টে ২৫ মিমি, ফেনীতে ২০ মিমি, হাতিয়ায় ৩৬ মিমি, কক্সবাজারে ৭২ মিমি, কুতুবদিয়ায় ৩৯ মিমি, সিলেটে ২০ মিমি, শ্রীমঙ্গলে ৩ মিমি, রাজশাহীতে ৪২ মিমি, ঈশ্বরদীতে ২৭ মিমি, বগুড়ায় ৩ মিমি, রংপুরে ৪১ মিমি, দিনাজপুরে ৩০ মিমি, সৈয়দপুরে ৮ মিমি, খুলনায় ৬৮ মিমি, মংলায় ৩৯ মিমি, সাতক্ষীরায় ৪৯ মিমি, যশোরে ৫ মিমি, চুয়াডাঙ্গায় ১৩ মিমি, বরিশালে ১৯ মিমি, পটুয়াখালীতে ৬ মিমি, খেপুপাড়ায় ৩২ মিমি ও ভোলায় ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সর্বশেষ তথ্যমতে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানি আবার বাড়ছে। এ সব নদীর পানি বৃদ্ধি আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের ৭৩টি নদীর মধ্যে ৪৭টির পানি বৃদ্ধি পেয়েছে,  কমেছে ২৩টি নদীর পানি। আর তিনটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাটে ২ সেন্টিমিটার, মুহুরী নদীর পানি পরশুরাম পয়েন্টে ৬৫ সেন্টিমিটার ও হালদা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ