এক রাতের টানা বৃষ্টিতেই তলিয়ে গেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল। রোববার বেলা বারটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২২০ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া দপ্তর জানায়।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে এই বর্ষণে নগরীর চকবাজার, ডিসি রোড, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, হালিশহর, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, মুরাদপুর, প্রবর্তক মোড়, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, কমার্স কলেজ রোড, মোগলটুলি, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সকালে কয়েকটি এলাকায় যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটে। নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে বাসা বাড়িতেও পানি ঢুকে পড়ে।
প্রবল বর্ষণে অফিসমুখী মানুষ এবং স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হন।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবীর বলেন, উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রামে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনও ভারি বৃষ্টি চলতে পারে।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল জানান, তিন সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
নগরীর ঢেবার পাড়ের বাসিন্দা গার্মেন্টকর্মী মোহাম্মদ কাউছার জানান, বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে তিনি কাজে যেতে পারেননি।
ষোলশহর এলাকার বাসিন্দা শামীম হাসান জানান, জলাবদ্ধতার কারণে যানবাহন চলাচল কমে যাওয়ায় তাদের ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
দুপুরের দিকে বৃষ্টি কমে এলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজে নামে।
কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি বিজয় কুমার চৌধুরী বলেন, “রাতে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্নœ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও দুপুর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।”
সকালে নগরীর বিভিন্ন নিচু এলাকায় হাঁটু পানি জমে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে।