বীমা গ্রহীতার উৎসে কর প্রত্যাহারের ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর

বীমা গ্রহীতার উৎসে কর প্রত্যাহারের ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর

বীমা গ্রহীতার উৎসে কর প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

রোববার বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ ইঙ্গিত দেন।

নতুন অর্থ বছরের বাজেটে জীবন বীমা গ্রহীতার অর্জিত মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর আরোপের প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “প্রস্তাবিত বাজেটে মেয়াদ শেষে জীবন বীমা গ্রহীতার অর্জিত মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ইন্সুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। সরকার বিষয়টি বিবেচনায় রাখবে। আমি তাদের বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছি। আগামী ২৭ তারিখের পর বোঝা যাবে কি হয়।’

তিনি বলেন, “বীমা কোম্পানিগুলোর পক্ষে করপোরেট ট্যাক্স কমানোর যে দাবি করা হচ্ছে, তা এই মুহূর্তে মানা সম্ভব নয়।”

এদিকে বীমা আইন ২০১০ এর যেসব ধারায় অসামঞ্জস্যতা রয়েছে, সেগুলো দূর করে শিগগিরই মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

বৈঠকে বীমা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন, মহাসচিব মোল্লাহ নুরুল ইসলামসহ সংগঠনের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি অংশ নেন।

মুহিত বলেন, “বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ও বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিলো। নিয়ন্ত্রণে কিছু দুবর্লতা ছিলো। দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বীমা আইন ২০১০-এর আটটি ধারা সংশোধন করে গেজেট বা প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।”

এদিকে বৈঠক শেষে শেখ কবির হোসেন বলেন, “অর্থমন্ত্রী মুনাফার ওপর যে করের প্রস্তাব করেছেন, তা দুঃখজনক। এতে সঞ্চয়কারীরা জীবন বীমা গ্রহণে নিরুৎসাহিত হবে। জীবন বীমা ব্যবসার প্রসার ভীষণভাবে ব্যাহত হবে। তাই এটি প্রত্যাহারে আমরা জোর দাবি জানিয়েছি। মন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।”

তিনি বলেন, “বীমা আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় মিল হচ্ছিল না। আমরা আলোচনা করে ৮টি ধারা সংশোধন করার ব্যাপারে একমত হয়েছি। আইডিআরএ এ ব্যাপারে সম্মত রয়েছে। কেন্দ্রীয় রেটিং কমিটির বিষয়টিও এতে রয়েছে। তবে এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আছে। সেটা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।”

শেখ কবির হোসেন পরে টেলিফোনে জানান, আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত বাজেটে বীমা কোম্পানিগুলোর করপোরেট কর কমানোর দাবি করেছি। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এটি কিভাবে হলো তা জানতেন না। তবে এই মুহূর্তে এটি আর কমানো সম্ভব হবে না। তবে ভবিষ্যতে এটা বিবেচনা করা হবে বলে তিনি আমাদের জানিয়েছেন।

কবির হোসেন বলেন, “ক্যাটিপাল গেইন ট্যাক্স আমরা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার কথা বলেছি। মন্ত্রী এটা চিন্তা করে দেখবেন বলে আমাদের বলেছেন।”

অর্থ বাণিজ্য