অনেক দিন ধরে সুন্দর ফুটবল খেলছে স্পেন। অনেকটা শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মতো। কোয়ার্টার ফাইনালে খেললো ভয়ঙ্কর সুন্দর খেলা। পেছন থেকে ওপরে সর্বত্র ফুটবল শিল্পের প্রদর্শনী।
দর্শনীয় ফুটবলের কাছেই হেরেছে ফ্রান্স। শীর্ষ আটের লড়াইয়ে শনিবার ফরাসিদের ২-০ গোলে হারিয়ে তারা উঠেছে ইউরোর সেমিফাইনালে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ পর্তুগাল আগে থেকে অপেক্ষা করছে।
খেলার শুরু থেকে বলের দখল রেখেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেন। এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে তাদের পায়ে পায়ে ঘুরেছে বল। তখনো ধাতস্থ হতে পারেনি ফ্রান্স। ১৯ মিনিটে গোল পায় স্পেন। আন্দ্রে ইনিয়েস্তার বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে জরদি আলবা বাঁ দিক দিয়ে ওপরে উঠেন। একজনকে কাটিয়ে মাপা ক্রস নেন। জাবি আলোনসো ছুটে গিয়ে হেডে দর্শনীয় গোল করেন।
বিরতির আগে গুছিয়ে উঠতে পারেনি ফ্রান্স। স্পেনের একপেশে খেলার ফাঁকে বিচ্ছিন্ন দু’একটি আক্রমণ তৈরি করেছে। ৩৫ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে প্রথমবারের মতো গোলে শট নেয় ফ্রান্স। ৩৫ গজ দূর থেকে ইউহান ক্যাবের শট কোনা দিয়ে জালে প্রবেশের আগে ইকার ক্যাসিয়াস তা পাঞ্চ করে বিপদ মুক্ত করেন।
পরের অর্ধে পাল্লা দিয়েছে লা ব্লুজরা। ফ্রাঙ্ক রিবেরি, করিম বেঞ্জেমা সামর্থের সবটুকু উজাড় করে খেলেন। পেছন থেকে বলের যোগান পেলেও আক্রমণে গিয়ে তাল হারিয়েছে। ফরাসি অগ্রভাগে ফরোয়ার্ডের অভাব বড্ড চোখে পড়ে। টেনে টুনে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের বক্স পর্যন্ত গেলেও তা গোলে শট হয়নি। যে কয়টি পরিকল্পিত আক্রমণ ছিলো তা প্রতিহত হয়েছে স্পেনের গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসের হাতে। ৭১ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাত ছাড়া হয় ফ্রান্সের। আলবেরো ছয় গজ দূর থেকেও নিশানা ভেদ করতে পারেননি।
ফ্রান্স চাপিয়ে খেললে দুম করে ঘুরে দাঁড়ায় স্পেন। তছনছ করে দেয় প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ। ৯০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল করেন জাবি আলোনসো।
শেষ ৩০ মিনিট অল-আউট ফুটবল খেলেছে উভয় দল। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলায় গতি ছিলো। স্পেনের ডিফেন্ডাররা কোন ভুল করেনি। সামর্থের শেষ বিন্দু দিয়ে চেষ্টা করেছে রক্ষণভাগ বিপদ মুক্ত রাখতে।
কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় এই প্রথম ফ্রান্সের বিপক্ষে জিতেছে স্পেন।