আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধের বিষয়টিও শিগগিরই নিষ্পত্তি হবে। সরকার সে দিকটি লক্ষ্য রাখছে।
শনিবার দুপুরে আইন কমিশন আয়োজিত জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি মিলনায়তনে ‘ইটলস (আন্তর্জাতিক সমুদ্রবিষয়ক ট্রাইব্যুনাল) প্রদত্ত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির রায়: সমুদ্র আইনে একটি তাৎপর্যপূর্ণ নজির’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে যে বিরোধ ছিল গত ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে আমরা ন্যায্যতা পেয়েছি। এ রায় দুই দেশের পক্ষেই গেছে। এটা যুগান্তকারী রায়। এর মাধ্যমে ৪০ বছরের বিরোধের মীমাংসা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সমুদ্রসীমার মধ্যে তেল-গ্যাসসহ অনেক খনিজ সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদের যথাযথ ব্যবহারে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘৪০ বছর পর এ বিরোধ নিষ্পত্তি হলেও মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট হয়নি।’
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মানবাধিকার বা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হয়নি।’
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘মিয়ানমারের অধিবাসীরা যাতে তাদের দেশেই থাকতে পারে সেজন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থাগুলোর উচিত তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা। তারা বাংলদেশকে নয় বরং মিয়ানমারকেই এ বিষয়ে চাপ দিতে পারে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সমুদ্রবিষয়ক সেমিনারে বক্তব্যের শুরুতে বলেন, ‘এ বিষয় সম্পর্কে আমার খুব বেশি ধারণা নেই। আজকের সেমিনারে প্রজেক্টরের মাধ্যমে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে কিছুটা বুঝেছি। সমুদ্র বিজয় আওয়ামী লীগের বড় অর্জন।’
আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্র বিজয়ে বিরোধী দল ধন্যবাদ জানিয়ে প্রত্যাহার করে নিয়েছে এটা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।’
সেমিনারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমুদ্র নিষ্পত্তির রায়ের প্রাসঙ্গিক নানা বিষয় প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রিয়াল অ্যাডমিরাল (অব.) মো: খুরশিদ আলম।
আইন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শাহ আলমের সভাপতিত্ব সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল ফারুক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালেয়ের হাবিবুর রহমান, নৌবাহিনীর কমান্ডার ইয়াদুল ইসলাম, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক মিজানুর রহমান খান প্রমুখ।