জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট বলেছেন, “উচ্চ আদালতে যারা অনেক টাকা ছাড়া মামলা গ্রহণ করেন না, তারা জনগণের আইনজীবী হতে পারেন না।”
তিনি আরো বলেন, “হাইকোর্টে অনেক অনেক আইনজীবী আছেন, যারা ৫ লাখ টাকার নিচে মামলা লড়েন না। যদি তারা কখনো নির্বাচনে দাঁড়ান, তবে জনগণ ওই ফি বিবেচনা করেই ভোট দেবেন।”
তিনি বলেন, আইনজীবীরা আইন পরিষদে না এলে এর মান ভালো হতে পারে না। ভবিষ্যতেও হবে না। তাই আইনজীবীদের জনগণের জন্য কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন স্পিকার।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, “দাতাদের রাজস্ব প্রদানের পদ্ধতিগত জটিলতা ও বিড়ম্বনা থেকে মুক্ত করতে হবে। কর ব্যবস্থা এমনভাবে সাজাতে হবে, যাতে সামাজিক সুবিচার ও ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠা করা যায়।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জিল্লুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ট্যাক্স ল ইয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহ জিকরুল আহমেদ এমপি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান।
স্পিকার বলেন, আমাদের মতো উন্নয়নকামী দেশে কর রাজস্ব নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন অনেক দূরহ কাজ। এর জন্য লাগসই রাজস্ব নীতি প্রয়োজন। আর্থ-সামাজিক বিষয় পর্যালোচনা করে সরকারকে বাজেটের মৌলিক দিক বাস্তবায়ন করতে হবে।
স্পিকার আরো বলেন, বৈশ্বিক ব্যবস্থা বিবেচনায় এনে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য প্রয়োজন পরনির্ভরতা কাটিয়ে উঠা। এর জন্য চাই সুশৃঙ্খল কর ব্যবস্থাপনা।