দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মারা গেছেন ১ হাজার ৬৬১ জন।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৮৬৮ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪ জন।
আজ শুক্রবার (২৫ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
নাসিমা সুলতানা জানান গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৪৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করে এসব তথ্য জানা গেছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট পরীক্ষা হয়েছে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪১টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১ হাজার ৬৩৮ জন সুস্থ হয়েছেন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৩ হাজার ১৩৩ জন।
তিনি ৬৬টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ হাজার ২৭৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৮ হাজার ৪৯৮টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ছয় লাখ ৯৬হাজার ৯৪১টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৮৬৮ জনের মধ্যে। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৯১ শতাংশ। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪ জনে।
নতুন করে যে ৪০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩১ জন ও নারী ৯জন। এ নিয়ে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে দেশে মোট মারা গেলেন ১ হাজার ৬৬১ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬৩৮ জন। সব মিলিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা এখন ৫৩ হাজার ১৩৩জন। সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৭২শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারী ৪০ জনের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়- ১ থেকে ১০ বছরের ১ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ৩ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৬ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৪ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৩ জন, আশি বছরের বেশি বয়সী ১ জন রয়েছেন।
তাদের মধ্যে ১৪ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন সিলেট বিভাগের, ৪ জন খুলনা বিভাগের, বরিশাল বিভাগের ৪ জন ও রংপুরে বিভাগের ৩ জন রয়েছেন।
যে ৪০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩১ জন হাসপাতালে এবং ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।