বর্তমান করোনা মহামারিকে একটি বড় যুদ্ধ পরিস্থিতি উল্লেখ করে মধ্যপ্রাচ্যসহ এসময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রবাসী শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘবে সচেষ্ট থাকার জন্য বাংলাদেশের সকল বৈদেশিক মিশনপ্রধানদের প্রতি আহবান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) মধ্যপ্রাচ্যের ৯টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও মিশনপ্রধানদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে এ আহবান জানান।
এ সময় ড. মোমেন প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিটেন্স-যোদ্ধা উল্লেখ করে তাদের কেউ যেন না খেয়ে থাকে সেটা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রদূতগণকে সচেষ্ট থাকতে নির্দেশনা দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বালাদেশের কৃষি শ্রমিকরা অত্যন্ত দক্ষ। তিনি বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য কৃষি উৎপাদন, মৎস্য চাষসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিকল্প শ্রমবাজার অনুসন্ধানে রাষ্ট্রদূতগণকে সক্রিয় থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেন। করোনা পরবর্তী পৃথিবীর খাদ্য চাহিদা পূরণে মধ্যপ্রাচ্যেসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কৃষিকাজে বাংলাদেশের শ্রমিকরা অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী শ্রমিকরা বিভিন্ন দেশের উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখে। কেউ যেন হঠাৎ চাকরিচ্যুত না হয় এবং চাকরিচ্যুত হলে যেন ৬ মাসের বেতন ও অন্যান্য ভাতা পায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে রাষ্ট্রদূতগণকে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কোয়ারেন্টাইন সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রবাসীদের কেউ দেশে ফিরতে চাইলে তাদেরকে ধাপে ধাপে দেশে ফেরত আনা হবে।
ড. মোমেন সকল বৈদেশিক মিশনকে আরো আন্তরিকতার সাথে কনস্যুলার সেবা প্রদান করতে আহবান জানান। মিশনসমূহে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে বলে এ সময় রাষ্ট্রদূতগণ অবহিত করেন।
কাতার, কুয়েত, সৌদিআরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, লেবানন, ওমান, ইরাক এবং জর্ডানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্যূত ও মিশনপ্রধানগণ এ ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।
ভিডিও কনফারেন্সে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সংযুক্ত ছিলেন।