ডা. সমিরুল ইসলাম বাবু। তিনি চট্টগ্রামের একজন জনপ্রিয় অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তার হাতে সুস্থ হয়েছে হাজার হাজার রোগী।
করোনা পরিস্থিতিতেও চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছিলেন এই চিকিৎসক। ফলশ্রুতিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবার প্লাজমা থেরাপিতে করোনা মুক্তও হয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত শত চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো গেলো না।
বুধবার (২৪ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ডা. সমিরুল ইসলাম বাবু। করোনা মুক্ত হলেও সর্বশেষ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টেই তার মৃত্যু ঘটেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সেলিম ডা. সমিরুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডা. সমিরুল ইসলাম দুপুর আড়াইটার দিকে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনেই মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ডা. সমিরুলের পারিবারিক সূত্র জানায়, গতমাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথমে ১১দিন নিজ বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলেন। পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে ২১ মে চমেক হাসপতালের একটি কেবিনে ভর্তি করা হয়। ২৬ মে সকালের দিকে তার শরীরের অক্সিজেনের সেচুরেশন কমে যায়। তখন তার অক্সিজেনের চাপ বাড়ানো হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় তার শরীরে ২৫০ মি.লি. প্লাজমা দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে ৩১ মে রাতে চমেক হাসপাতালের ল্যাবের করোনার দ্বিতীয় দফা নমুনা পরীক্ষায় ডা. সমিরুলের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। করোনা মুক্ত হলেও তার শারিরীক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। পরবর্তীতে তাকে চট্টগ্রামের বেসরকারী মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সেখানেও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল বোর্ড তার চিকিৎসার তদারকি করছিলেন।
দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় করোনাসহ অন্যান্য রোগের সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে বুধবার ডা. সমিরুল মৃত্যুর কাছে পরাজিত হলেন।