লাদাখের গালওয়ান সীমান্তে চীন ও ভারতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের জেরে সেখানকার পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। তবে গতকাল মঙ্গলবার দুই দেশই সিদ্ধান্ত নিয়েছে- পূর্ব লাদাখ থেকে পিছু হঠার ব্যাপারে।
সেনা কমান্ডার পর্যায়ে দীর্ঘ বৈঠকের পর চীন ও ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে- পূর্ব লাদাখের বিরোধপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে দু’দেশই সেনা সরিয়ে নেবে।
তবে এ ব্যাপারে ভারতের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নির্ভরযোগ্য সেনা সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখে দুই বাহিনী ঠিক কিভাবে পিছিয়ে যাবে, বা কবে থেকে বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার কাজ হবে, সেসব খুঁটিনাটি দুই বাহিনী পরে ঠিক করবে।
চীনের সরকারি সংবাদপত্র পিপলস ডেইলি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, দুই সেনা কমান্ডারের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠকটি প্রমাণ করে যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মিটিয়ে নিতে এবং উত্তেজনা কমিয়ে ফেলতে চাচ্ছে ভারত ও চীন।
বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে ১৪ কোরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারিন্দার সিং ছিলেন এবং চীনের পক্ষ থেকে ছিলেন তিব্বত সামরিক জেলার কমান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন। বৈঠকে ভারত দাবি করেছে, গালওয়ান উপত্যকায় পূর্ব পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে চীন।
এসব নিয়ে যেমন বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে, ভারতের প্রস্তাব অনুসারে দুই দেশের সেনা সংখ্যা কমানোর ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে বহু দশক ধরেই পরস্পরবিরোধী দাবি আছে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা