করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ থেকে সৌদিআরবে হজে যাওয়া না গেলেও হজে যাওয়ার জন্য যারা নিবন্ধন করেছেন, তারা টাকা ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব নুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিবন্ধনের টাকা ব্যাংক হিসেবে সুরক্ষিত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যারা টাকা ফিরিয়ে নিতে চাইবে তাদের কাছে টাকা ফেরত দেয়া হবে, আবার যদি কেউ এই বছরের টাকা পরের বছরের হজের জন্য রাখতে চান, তবে সেটিও সম্ভব।’
‘অর্থ ফেরত দেয়ার বিষয়ে কোনো সমস্যা হবে না কারণ মন্ত্রণালয় বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে,’ যোগ করেন সচিব নুরুল ইসলাম।
এদিকে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এ বছর খুব সীমিত পরিসরে হজ পালনের সৌদি সরকারের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশ সঠিক বলে মনে করে।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ সোমবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনকে ফোন করে জানান, কোভিড-১৯ মহামারিজনিত পরিস্থিতির কারণে এ বছর প্রথাগত কোনো হজ পালন করতে দেয়া হবে না।
এ বছর কেবলমাত্র একটি সীমিত সংখ্যক (অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয়ই এক হাজারের কম) লোককে হজ করতে দেয়া হবে।
এই পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্তটিকে ‘সঠিক’ বলে অভিহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সৌদি যুবরাজকে ফোন দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
সৌদি আরব মঙ্গলবার বলছে, করোনাভাইরাসের কারণে কেবলমাত্র ‘খুব সীমিত সংখ্যক’ লোককে এ বছর হজ করার অনুমতি দেয়া হবে। যেখানে প্রতিবছর বিশ্ব থেকে প্রায় ২০ লাখ লোক একসাথে হজ পালন করে।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, ‘হজে অংশ নিতে পারবেন সৌদিতে অবস্থান করা বিভিন্ন দেশের খুবই অল্প সংখ্যক মানুষ।’
‘বর্তমান করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের পরামর্শে বৈশ্বিক মহামারি হতে মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়েই আন্তর্জাতিকভাবে বহির্বিশ্বের হজ পালনকারীরা হজে অংশ নিতে পারবেন না। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৮ জুলাই থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে,’ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
ফলে সৌদি আরবের বাইরের কেউ এ বছর হজ পালন করতে পারবেন না। বাংলাদেশ থেকে যারা ইতিমধ্যেই সৌদি আরবে গেছেন তারা হজ পালন করতে পারবেন। তবে এই মুহূর্তে কেউ হজ করতে সৌদি আরবে যেতে পারবেন না।