রোহিঙ্গা : জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে ভাসানচর দেখার আমন্ত্রণ

রোহিঙ্গা : জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে ভাসানচর দেখার আমন্ত্রণ

মানবিক পরিস্থিতি এবং শরণার্থী জনগোষ্ঠীর যেকোনো তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণের জন্য ভাসানচর দ্বীপে একটি সুরক্ষা সফর করতে জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাসহ ইউএনএইচসিআরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা মতে, এ সফরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, ভাসানচরে যেকোনো শরণার্থীদের স্থানান্তর করার আগে পাঁচটি মূল বিষয়ের বিশদ ও স্বতন্ত্র মূল্যায়ন করা উচিত।
এগুলো হলো- সুরক্ষা ও স্থায়িত্ব, জাতিসংঘ ও মানবিক কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, নিরাপত্তা, টেকসই জীবিকা ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং প্রবেশগম্যতা।
ইউএনএইচসিআর বলেছে, এখন পর্যন্ত এ মূল্যায়নগুলোর বাস্তবায়ন করা হয়নি।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ সমুদ্রে থাকার পরে গত ২ মে প্রায় ৩০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে উপকূলে আসে। যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু ছিল। উদ্ধারের পরে তাদের ভাসানচরে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।
১৭ মে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা ২৭৭ রোহিঙ্গাদের একটি দলকেও এ দ্বীপে পাঠানো হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৪ মে প্রথম কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছিল এবং মে মাসের শেষে মোট ২৯ জনের এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতির ওপর ১ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত পরিচালিত হালনাগাদ সমীক্ষায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইউএনএইচসিআর কোভিড-১৯ আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসায় ২০০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ও চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করেছে। যেখানে কোভিড-১৯ ধরা পড়া রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়া রোগীদের সংস্পর্শে আসাদের আইসোলেশনে রাখার জন্য চারটি পৃথক পৃথক কেন্দ্রও প্রতিষ্ঠা করেছে ইউএনএইচসিআর।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর