জাপান সরকার জানিয়েছে দুদেশের মধ্যে গভীর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে তারা।
শুক্রবার ঢাকার জাপান দূতাবাস বলে, ‘আমরা আশা করছি বাংলাদেশ শিগগিরই চলমান সংকট কাটিয়ে উঠবে যাতে দুটি দেশ সম্পর্ক আরও গভীর করতে পারে।’
জাপান বলছে, সে দেশ থেকে অন্য দেশে ফিরতি ফ্লাইটের জন্য কোনো নির্দিষ্ট বাধা দিচ্ছে না।
বাংলাদেশসহ ১১১টি দেশে গত ১৪ দিনের মধ্যে যেসব অ-জাপানী ছিলেন বা সফর করেছেন তাদের বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া জাপানে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে জাপান।
ঢাকা থেকে জাপানের উদ্দেশে যাওয়া ফ্লাইটের ওপর ‘নিষেধাজ্ঞার’ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় দূতাবাসের পাঠানো এক বিবৃতিতে বেশ কয়েকটি বিষয় পরিষ্কার করা হয়েছে।
জাপান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা দেশের বিমানবন্দরে যথাযথভাবে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যাদের মধ্যে রয়েছে যাত্রীদের নিজে থেকে উপসর্গের ঘোষণা দেয়া, শরীরের তাপমাত্রা মাপা এবং প্রয়োজনে পিসিআর টেস্টিং (১৬ জুন থেকে ১১১ দেশের যাত্রীদের জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক)।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাপান সরকার সারা বিশ্বের ভ্রমণকারীদের বাড়িতে থাকার অনুরোধ করছে এবং তাদের আগমনের পরে ১৪ দিনের জন্য গণপরিবহন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
তবে চার্টার্ড ফ্লাইটের যাত্রীদের বোর্ডিংয়ের আগে ও জাপানে প্রবেশের জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষার সার্টিফিকেট দেখানোর প্রয়োজন হবে না।
সার্টিফিকেটের বৈধতা বা যথার্থতা কখনও এতে সমস্যা বলে বিবেচনা করা হবে না।
২৫ মে তারিখে জাপান বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানসহ মোট ১০টি দেশকে একসাথে জাপানে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করে। এ পদক্ষেপ ২৭ মে থেকে কার্যকর করা হয়।
এ অঞ্চলের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সম্পর্কে সামগ্রিক মূল্যায়ন শেষে এ সিদ্ধান্তটি নেয়া হয় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
তবে, এটা সত্য যে ৩০ এপ্রিলের চার্টার্ড ফ্লাইটের আরোহী চার যাত্রীর জাপানে প্রবেশের পরে কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। তবে তাদের সংক্রমণের উৎস বা স্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।