দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং মহামারি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এ পর্যন্ত গৃহীত ব্যবস্থা, চিকিৎসাসামগ্রী সংগ্রহ পরিকল্পনা এবং আগামী দিনেও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গৃহীত উদ্যোগ পর্যালোচনা করেন।
‘শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন’ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এবং কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী দেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির সাথে বৈঠকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসন আরও বড় পরিসরে সম্পৃক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
এর আগে, দেশে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া ঠোকাতে ১৯ এপ্রিল সরকার ১৭ সদস্যের জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করে।
প্রসঙ্গত, মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে বুধবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ জন মারা গেছেন এবং ৪০০৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তসহ এখন পর্যন্ত দেশে করোনার শিকার হয়েছেন ৯৮ হাজার ৪৮৯ জন। আর মোট মারা গেছেন এক হাজার ৩০৫ জন। করোনায় নতুন যে ৪৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন এবং নারী ১৫ জন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯২৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ১৮৯ জন।
বিশ্ব পরিস্থিতি: জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ লাখ ৪১ হাজার ৪৩৯ জনে। এছাড়া, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ লাখ ৫২ হাজার ৮৮৫ জন।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, বুধবার পর্যন্ত ব্রাজিল ও রাশিয়া যথাক্রমে ৯ লাখ ২৩ হাজার ১৮৯ জন এবং ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৭২৫ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।