৪৫ বছর পর ফের উত্তপ্ত চিন-ভারত সীমান্ত। রক্তক্ষয়ী হামলায় শহিদ হয়েছে ২০ ভারতীয় জওয়ান। পালটা মারে চীনেরও ৪৩ জন সেনা নিহত হয়েছেন বলে খবর। দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব প্রান্তে চিন সীমান্তে বাড়তে থাকা উত্তেজনায় সতর্ক ইনটালিজেন্স বিভাগ। একইসঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া হিমাচল প্রদেশের একাধিক এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় চক্কর কাটছে চিনা কপ্টার। সবমিলিয়ে দুদেশের সীমান্তে চূড়ান্ত উত্তেজনা রয়েছে।
জানা গেছে, হিমাচল প্রদেশের কিন্নর, লাহুল-স্পিতি এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেই সমস্ত এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে ইনটালিজেন্স দপ্তরও। রাজ্যের বিভিন্ন গোয়েন্দা শাখাকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হিমাচলের এসপি কুশল শর্মা জানিয়েছেন, “লাদাখে ভারতীয় সেনা-চিনের লাল ফৌজের মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে কিন্নর, লাহুল-স্পিতি জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সতর্কতামূলক একাধিক পদক্ষের জারি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে রাজ্যের ইনটালিজেন্স বিভাগও সতর্ক রয়েছে।”
এদিকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ সেনা জওয়ানের মৃত্যুতে শোকাতুর দেশবাসী। টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রীও। মঙ্গলবার রাতেই টুইট করেন সোনিয়া গান্ধী। নিহত সেনা জওয়ানদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার রাতে ভারতীয় বাহিনীর উপর হামলা চালায় লাল ফৌজ। পালটা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। সেই সংঘর্ষে অন্তত বিশ জন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন অনেকেই, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য। গালওয়ান উপত্যকায় চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিল ভারত। মঙ্গলবার বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরানোর জন্য সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে দুই দেশ।