যারা তৃতীয় শক্তির কথা বলেন, তারা দেশদ্রোহী : মহিউদ্দিন খান আলমগীর

যারা তৃতীয় শক্তির কথা বলেন, তারা দেশদ্রোহী : মহিউদ্দিন খান আলমগীর

যারা তৃতীয় শক্তির কথা বলেন, তারা দেশদ্রোহী ও যুদ্ধাপরাধী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মহিউদ্দিন খান আলমগীর এমপি।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব কবিতা কণ্ঠ পরিষদ আয়োজিত ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দরকার নেই, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার কথা বলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকাররের চেষ্টা করে লাভ নেই। কারণ হিল্লা বিয়ার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। আইনগতভাবেও এটা নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। যারা তৃতীয় শক্তির কথা বলেন তারা দেশদ্রোহী ও যুদ্ধাপরাধী। তাদের বিচার করতে হবে। ইয়াজ উদ্দিন, মঈন উদ্দিন, ফখরুদ্দিন ও হাসান মশহুদের মতো কুলাঙ্গারদের দেশদ্রোহী ও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচার করতে হবে।’

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘অরাজনৈতিক ও অসাংবিধানিক তৃতীয় শক্তিকে বিএনপি প্রতিহত করবে। যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে, তা হলে অবশ্যই আমরা তাদের স্বাগত জানাবো।’

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে তারা গণতন্ত্র চান না। তারা ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নিয়েছে। তারাতো তৃতীয় শক্তির উত্থান চাইবেই। এটা তাদের মুখের কথা নয়। এটাই তাদের আসল উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল এবং গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়।’

তিনি বলেন, এক ধরনের বুদ্ধিজীবী জ্ঞানপাপীরাও ১/১১ সৃষ্টির আবহ তৈরি করছেন। এ জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের কথা হচ্ছে। কিন্তু ২০০৭ আর ২০১২ এক নয়।’

কামরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আজ যেসব জ্ঞানপাপীরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কথা বলছেন তারা নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেননি। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও প্রশ্ন তুলতে পারেননি। তারপরও কেন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান? আসলে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চান না। কিন্তু আমরা সংবিধানের বাইরে যেতে পারি না। আগামীতে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ শক্তিশালী করা হবে।’

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য  সতীশ চন্দ্র রায়।

রাজনীতি