কাশ্মীর অঞ্চলের লাদাখে চীনা সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারতীয় বাহিনীর তিন জন সেনা নিহত হয়েছেন।
ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উভয় দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বৈঠক করছেন। তবে এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলেন নি।
এদিকে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে লাদাখে ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে চীনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ ঘটে। এতে ভারতের এক আর্মি অফিসার ও দুই সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।
সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কোন গোলাগুলিতে নয় হাতাহাতি লড়াইয়ে ভারতীয় বাহিনীর তিন জন নিহত হন। এই সংঘাত ভারত সীমানার ভেতরে ঘটে।
এদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ভারতকে একতরফা ভাবে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আলোচনা চলছে।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রণায়ের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, গালওয়ান উপত্যকা থেকে দুই পক্ষ সেনা সরানোর সময়ই আচমকা এই ঘটনা ঘটে সোমবার রাতে। প্রাণ হারান আর্মির এক কম্যান্ডিং অফিসার ও দুই জওয়ান। গালওয়ান উপত্যকা হচ্ছে পূর্ব লাদাখের চারটি স্থানের মধ্যে একটি, যেখানে গত ছয় সপ্তাহ ধরে একেবারে সম্মুখ-সমরে ভারত ও চিন সেনা। দফায় দফায় আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তার অন্তর্গত সেনা সরানোর প্রক্রিয়ার সময়ই আচমকা হল এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।
দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিতে প্রাণ হারালেন তিন সেনা। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন দুই দেশের বরিষ্ঠ সেনা কর্তারা পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য। তবে ওই পক্ষেও হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। তবে চিনের কজন মারা গিয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। ১৯৭৫ সালের পর এই প্রথম ভারত-চিন সংঘর্ষে কোনও ভারতীয় সেনা মারা গেল।
গত সপ্তাহেই সেনাপ্রধান এম এম নারভানে বলেছিলেন পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আছে, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনা যে সেনা ও সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে, তা বলাই যায়।