একটি বাদে সব কারখানাই চলছে: বিজিএমইএ

একটি বাদে সব কারখানাই চলছে: বিজিএমইএ

চার দিন বন্ধ থাকার পর সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের প্রায় সব পোশাক কারখানাই সচল হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রীকে তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। মাত্র একটি কারখানায় সমস্যা চলছে। ওই কারখানা খুলে দেওয়া হলেও শ্রমিকরা কাজে যাননি। এ ব্যাপারে মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।”

ওই কারখানার পরিস্থিতি সকাল থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, “বৃহস্পতিবারের মধ্যেই আশুলিয়া পরিস্থিতি স্বাবাভিক হয়ে আসবে বলে আমরা আশা করছি।”

শিল্প পুলিশের আশুলিয়া জোনের পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান  সাভার প্রতিনিধিকে জানান, সব কারখানা সকালে খুলে দেওয়া হলেও জামগড়ার রোজ ড্রেসেস লিমিটেডের প্রায় চার হাজার শ্রমিক বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। অন্যান্য কারখানায় শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন।

বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভে গত ১১ জুন থেকে অস্থিরতার পর গত শনিবার আশুলিয়ার সব কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। ফলে আশুলিয়ার প্রায় সাড়ে তিনশ পোশাক কারখানার সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ শ্রমিক অনিশ্চয়তায় পড়েন।

বুধবার শ্রমমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতারা কারখানা খুলে দিতে সম্মত হন।

বৈঠকের পর মন্ত্রী শ্রমিকদের মজুরি বা বেতন বাড়ানোর দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, “এ সংক্রান্ত কোনো যৌক্তিক সুনির্দিষ্ট দাবি বা প্রস্তাব এখনো সরকারের কাছে আসেনি। তাদের কোনো যৌক্তিক দাবি না পাওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে কোনো যৌক্তিক দাবি পেলে সরকার এ ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেবে।”

মালিকপক্ষ চার দিন বন্ধ রাখলেও তার আগের চার কার্যদিবসেও বিক্ষোভ- সংঘর্ষের কারণে আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলোতে কোনো কাজ হয়নি।

অর্থ বাণিজ্য