এসইসির ২ সিসি ধারার পক্ষে রায়

এসইসির ২ সিসি ধারার পক্ষে রায়

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আইনের ২ সিসি ধারা চ্যালেঞ্জ করে ২৪ পরিচালকের করা পাঁচটি রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়। এর ফলে উদ্যোক্তা পরিচালকদের ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকার বাধ্যবাধকতা থেকেই গেল।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা, পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণের বিষয়ে গত ২২ নভেম্বর একটি আদেশ জারি করে এসইসি।

এতে বলা হয়, কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ওই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ এবং প্রত্যেক পরিচালকের ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে।

আদেশ জারির ছয় মাসের মধ্যে এ শর্ত পূরণ করতে বলা হয়, যা শেষ হয় ২১ মে।

পরদিন এনসিসি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স ও প্রাইম ফিনান্সের ২৪ জন পরিচালক হাই কোর্টে এই পাঁচটি আবেদন করেন।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর যে ধারার ক্ষমতাবলে এসইসি ওই নির্দেশনা দিয়েছিল, সেই ২ সিসি ধারা অবৈধ ঘোষণার আবেদন জানান পরিচালকরা।

এসব আবেদনে গত ৪ জুন একটি রুল জারি করে আদালত। এসইসি আইনের ২ সিসি ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

ওই রুলের ওপর পাঁচ দিন ধরে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর বক্তব্য শুনে বৃহস্পতিবার তা নিস্পত্তি করে দিল হাই কোর্ট।

এসইসির এই ধারায় বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন অথবা বিদ্যমান কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হলে এসইসি এ ধরনের শর্ত আরোপ করতে পারবে।

হাই কোর্টের রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, “রিট আবেদনকারীরা বলেছিলেন যে ২ সিসি ধারায় এসইসিকে অবারিত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এবং এই ক্ষমতা এসইসি লাগামহীনভাবে ব্যাবহার করতে পারে।”

আবেদনকারীদের বক্তব্য ছিল, ২ সিসি-তে কোনো নীতিমালা না থাকায় কতখানি ক্ষমতা এসইসি আরোপ করবে, তা নির্দিষ্ট করা নেই।

“আমরা বলেছি, এসইসির প্রস্তাবনায় স্পষ্ট বলা আছে যে আইনটি তৈরি করা হয়েছে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এবং পুঁজিবাজারের কার্যাবলির স্বচ্ছতা বজাই রাখার জন্য। আদালত আমাদের এ বক্তব্য গ্রহণ করেছেন এবং পিটিশিন খারিজ করে দিয়েছেন,” বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

এ মামলায় এসইসির পক্ষে ছিলেন মুরাদ রেজা, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষে ছিলেন আমীর উল ইসলাম, শেখ ফজলে নূর তাপস এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পক্ষে ছিলেন হাসান আরিফ ।

এসইসির ওই নির্দেশনার বিরুদ্ধে এর আগেও তিনটি রিট আবেদন খারিজ করেছিল হাই কোর্ট।

গত ৪ জুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ২১ মের পরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২০৯টি কোম্পানির ২৩৫ জন উদ্যোক্তা, পরিচালকের ২ শতাংশের কম শেয়ার ছিল।

অর্থ বাণিজ্য