ছয় কার্যদিবস টানা দরপতনের পর বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনের মধ্যে বৃহস্পতিবার সামান্য বেড়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক।
এদিকে গত কয়েকদিনের মতো বৃহস্পতিবারও ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ করেছে বিনিয়োগকারীরা।
বৃহস্পতিবার ডিএসইর সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৩০০ পয়েন্ট হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ১১৮ কোটি টাকার শেয়ার।
সর্বশেষ ২০০৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর এর চেয়ে কম ১০৯ কোটি ৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল ডিএসইতে।
সপ্তাহের শেষ দিনে দাম বেড়েছে ১৬৩টি কোম্পানির শেয়ারের, কমেছে ৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির দাম।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরুর পর আধা ঘণ্টায় সূচক বাড়লেও এক ঘণ্টার লেনদেনে সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৯ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ২৮৫ পয়েন্ট হয়।
তবে সাড়ে ১১টার পর সূচক আবার বাড়তে শুরু করে। সাড়ে ১২টায় সাধারণ সূচক বেড়ে হয় ৪ হাজার ৩২৭ পয়েন্ট। এরপর কিছুটা ওঠানামা করে তিন ঘণ্টার লেনদেন শেষে বেলা দেড়টায় সাধারণ সূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৩২৭ পয়েন্ট হয়।
সকালে লেনদেনের শুরুতে প্রথম আধা ঘণ্টায় সাধারণ সূচক প্রায় ৬০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচক পড়তে শুরু করলে আগের দিনের মতোই ডিএসই ভবনের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভে নামেন বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তাদের মাথায় কাফনের প্রতীক হিসাবে সাদা কাপড় বাঁধা দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য তারা ধর্মঘটেরও ঘোষণা দেন।
দরপতনের প্রতিবাদে বুধবারও মতিঝিলে ডিএসইর সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বিনিয়োগকারীরা। তারা অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও সিকিউিরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন।
গত ৭ জুন বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই ডিএসইতে টানা দরপতন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১ কার্যদিবসের মধ্যে কেবল দুইদিন ৬ পয়েন্ট যোগ হওয়া ছাড়া বাকি সব দিনই সূচক পড়ে।
বুধবার ডিএসই সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১০৮ পয়েন্ট কমে হয় ৪ হাজার ২৯৫ পয়েন্টে হয়। হাতবদল হয় ১২২ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
এর আগে মঙ্গলবার ডিএসইর সাধারণ সূচক ১৪ পয়েন্ট, সোমবার ৮৭ পয়েন্ট ও রোববার ১১৪ পয়েন্ট কমে। গত সপ্তাহে সাধারণ সূচক কমে সব মিলিয়ে ১৪৮ পয়েন্ট।