ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায় চার ধাপ সরলো বাংলাদেশ

ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায় চার ধাপ সরলো বাংলাদেশ

রাষ্ট্র হিসেবে ব্যর্থতার তালিকায় কিছুটা উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ব্যর্থতার তালিকায় এবার বাংলাদেশ গতবারের চেয়ে চার ধাপ সরে এসে ২৯তম অবস্থানে।  গত বছর বাংলাদেশ ছিল ২৫তম অবস্থানে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা (রিস্কি ক্যাটাগরি) থেকে বের হতে পারেনি।

গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ফান্ড ফর পিস তাদের ওয়েবসাইটে ব্যর্থ রাষ্ট্রের এ তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রতি বছর তারা এ তালিকা প্রকাশ করে থাকে।

গতবারের মতো এবারও তালিকার শীর্ষে থেকে ব্যর্থতম রাষ্ট্রের অপবাদটি ধরে রেখেছে সোমালিয়া। তালিকার ১৭৮টি দেশের মধ্যে ব্যর্থতার দিক থেকে ক্রমানুসারে প্রথম দশটি রাষ্ট্র হলো- গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, সুদান ও দক্ষিণ সুদান, শাদ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান, হাইতি, ইয়েমেন, ইরাক ও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র।

এদিকে তালিকায় সূচকের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে কিরগিজস্তান। ৪ দশমিক ৪ পয়েন্ট কমে গিয়ে এ বছর দেশটির সূচক ৮৭ দশমিক ৪ পয়েন্টে পৌঁছেছে। আর সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে লিবিয়ার। গত বছর লিবিয়ার অবস্থান ছিল ১১১তম আর এ বছর তা ৫০তম।

ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে অবস্থানের দিক দিয়ে সবচে বেশি এগিয়েছে (অপবাদ ঘুচিয়েছে) কিউবা। গত বছরের ৮৬তম অবস্থান থেকে এবার তা ১০১তম অবস্থানে নেমে গেছে।

অন্যদিকে এবারের তালিকায় পাকিস্তান, মিয়ানমার ও নেপালের তুলনায় অনেক বেশি বাংলাদেশ ভালোর দিকে সরে এসেছে।

পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে- ভারত ৭৮তম, পাকিস্তান ১৩তম, মিয়ানমার ২১তম, নেপাল ২৭তম, শ্রীলঙ্কা ২৯তম এবং মালদ্বীপ ৮৮তম অবস্থানে রয়েছে।

সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ১২টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ব্যর্থরাষ্ট্রের এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এখানে প্রতিটি সূচকের মান ১০। সে হিসাবে মোট স্কোরিং পয়েন্ট ১২০।

সূচকগুলো হলো- জনসংখ্যার চাপ, শরণার্থী-সমস্যা, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা, মানুষের অবস্থার পরিবর্তন, অসম উন্নয়ন পরিকল্পনা, অর্থনৈতিক অবক্ষয়, সরকারের অবৈধতা, রাষ্ট্রপ্রদত্ত চাকরি-সুবিধা, মানবাধিকার, নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার অনুপস্থিতি, অভিজাতদের দলাদলি এবং বাইরের হস্তক্ষেপ।

জনসংখ্যার চাপ, শরণার্থী বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট গুরুতর মানবিক বিপর্যয়, উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া প্রতিহিংসা বা গোষ্ঠীগত দুঃখ-দুর্দশা ও অভিবাসন- এই চারটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে সামাজিক ক্ষেত্রের অবস্থা নির্ণয় করা হয়েছে।

আর অসম অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ভিত্তিতে অর্থনীতির অবস্থা নির্ণয় করা হয়েছে। রাজনৈতিক অবস্থা পরিমাপ করা হয়েছে  রাষ্ট্রে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি বা আইনের শাসনের অভাব, জনপ্রশাসনের অবনতি, আইনের স্বেচ্ছাচারী ব্যবহার ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন, নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক ‘রাষ্ট্রের ভেতরে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’, এলিট শ্রেণীর উত্থান এবং বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপের ওপর ভিত্তি করে।

বাংলাদেশ