বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে সংসদে আসার আহ্বান জানিয়ে সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, “ঈদের পরে আলটিমেটামের নামে তামাশা না করে সংসদে আসুন।”
বুধবার জাতীয় সংসদে ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংসদ উপনেতা আরো বলেন, “সংসদে এসে আপনাদের কথা বলুন। আমরা সবাই মিলে জাতীয় স্বার্থে কাজ করি। ২০৩০ সাল নয় বেগম খালেদা জিয়া, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। দেশকে পিছিয়ে দেবেন না।”
তিনি বলেন, “খালেদার জিয়ার দেওয়া বাজেট নিয়ে মানুষ বলে-সংসদে ভোট দিয়ে পাঠিয়েছি উনাকে, পাঁচতারা হোটেল ভাড়া করে উনি বাজেট দেন কেন?”
এর আগে সাজেদা চৌধুরী বলেন, “যারা একের পর এক রোজার পরে, ঈদের পরে আলটিমেটাম দিয়ে যাচ্ছে এবং বলছে সরকারের জনপ্রিয়তা নেই, তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এশিয়ান নেতাদের মধ্যে শেখ হাসিনার অবস্থান সাতে। এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জরিপকারী প্রতিষ্ঠান গ্যালাপের জরিপ।”
তিনি বলেন, “বিএনপি-জামাত জোট সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করেছিলো। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছিলো।”
তিনি বলেন, “ঘৃণ্য রাজাকারদের সংগঠন জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি সাইনবোর্ড সর্বস্ব ১৮ দলের নামে যে জোট গঠন করেছে, তার মাধ্যমে জনগণের মঙ্গল করা যায় না। রাজনীতির নামে যারা মানুষ পুড়িয়ে, গাড়ি ধ্বংস করে জনগণ তাদের ঘৃণা করে। কুখ্যাত বাচ্চু রাজাকার পালিয়ে গেছে শুনেছি। মীর কাশেম ধরা পড়েছে। আরো রাজাকার ধরা পড়বে। আর একটা রাজাকারও যাতে পালাতে না পারে সে ব্যাপরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানই।”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, “আমরা রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নেমেছি। যতদিন পর্যন্ত একজন রাজাকার থাকবে, ততদিন এ সংগ্রাম চলবে।”
এ সরকারের আমলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
পার্বত্য ভূমি সম্পর্কে সাজেদা বলেন, “আমরা পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনের পথে অনেকদূর এগিয়েছি। খুব শিগগিরই সংশোধিত আইনটি বিল আকারে সংসদে উপস্থাপতি হবে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “বিএনপি-জামায়াত জোট পার্বত্য শান্তি চুক্তির কোনো কাজ না করে পার্বত্য এলাকাকে অশান্ত করে রেখেছিলো।”
তিনি বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব মুখার্জি ক্ষমতাসীন কংগ্রেস জোটের নমিনেশন পাওয়ায় বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত। আমি আশা করছি, প্রণব মুখার্জি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।