প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ফোনের বিলের ওপর ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন এবং সিমকার্ড ও সফটওয়ার আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বুধবার বিকেলে অর্থমন্ত্রণালয়ে মোবাইল অপারেটর সঙ্গে বৈঠককালে অর্থমন্ত্রী এ আশ্বাস দিয়েছেন বলে বৈঠক শেষে মোবাইল অপারেটররা সাংবাদিকদের জানান।
বৈঠকে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টোরে জনসন, এয়ারটেল প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস টবিট, বাংলালিংকের হেড অব কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স জাকিউল ইসলামসহ অন্যান্য অপারেটরদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অপারেটর রবির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদুর রহমান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “বৈঠকে মোট পাঁচটি বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে আমরা বলেছি, মোবাইল ফোনের বিলের ওপর ২ শতাংশ হারে উৎসে কর আদায়ের বিষয়ে অপারেটররা কোন রশিদ দিতে পারবে না এবং এতে নানা সমস্যাসহ মোবাইল ফোনের গ্রাহক বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
মাহমুদুর রহমান জানান, বর্তমানে সিমপ্রতি ৬০০ টাকা ট্যাক্স আরোপিত রয়েছে। এজন্য অপারেটরদের বিরাট অংকের টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, “আগামী বাজেটে এ টাকা ছাড় দেওয়া হলে তৃণমূল পর্যায়ে গ্রাহকসেবা বাড়ানো সম্ভব হতো এবং এর ফলে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তেও সুবিধা হতো।”
রবির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রস্তাবিত বাজেটে সিমকার্ডের ওপর আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক শতকরা ২০ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ৩০ ভাগে উন্নীত করা হয়েছে, এটা এ খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া নেটওয়ার্ক আপগ্রেডশেন ও অন্যান্য প্রযুক্তির জন্য আমদানিকৃত সফটওয়ারের ওপর আমদানি শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে খরচ অনেক বেড়ে যাবে এবং নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
মাহমুদুর রহমান বলেন, “এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, দেশীর সফটওয়্যার শিল্পকে সহায়তা প্রদানের জন্যই সফটওয়্যার আমদানিও ওপর শুল্কহার বাড়ানো হয়েছে।”
তবে মোবাইল ফোন খাতে যেসব সফটওয়ার বাইরে থেকে আসে, তা বাংলাদেশে তৈরি হয় না বলে জানান মোবাইল অপারেটররা।