জুয়েলারি ব্যবসায়ের প্রধান উপাদান স্বর্ণ ও রৌপ্যের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে স্বর্ণ সরবরাহের আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সম্প্রতি বাজুস সাধারণ সম্পাদক ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পত্রে এ আবেদন জানানো হয়।
ওই পত্রে আরো বলা হয়, জুয়েলারি এদেশের একটি সম্ভবনাময় ও ঐতিহ্যবাহী শিল্প। জুয়েলারি ব্যবসার প্রধান কাঁচামাল হলো স্বর্ণ ও রৌপ্য। বাংলাদেশের স্বর্ণকারগণ স্বর্ণালংকার ও রৌপ্যালংকার তৈরি করার ক্ষেত্রে দেশীয় রিসাইকেল স্বর্ণ ও রৌপ্যের ওপর নির্ভরশীল যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
অন্যদিকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কেউ কেউ দেশে আগমনকালে যে পরিমাণ স্বর্ণ ও রৌপ্য নিয়ে আসেন তার পরিমাণও অনেক কম। এর ফলে জুয়েলার্সদেরকে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়েও বেশি মূল্যে স্বর্ণ ও রৌপ্য ক্রয় করতে হয় বলে উল্লেখ করা হয় ওই চিঠিতে।
গভর্ণরকে দেওয়া ওই চিঠিতে আরো বলা হয়, এর প্রভাব পরে স্বর্ণালংকার ও রৌপ্যালংকারের মূল্যের নির্ধারণের ক্ষেত্রে। যদি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় এদেশেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক অথবা ব্যাংক কর্তৃক নিয়োগকৃত এজেন্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সাথে সহনীয় হারে প্রিমিয়ামযুক্ত করে বৈধ জুয়েলার্সদের নিকট স্বর্ণ ও রৌপ্য সরবরাহ করা হয় তাহলে আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে স্বর্ণ ও রৌপ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে।
এছাড়া চিঠিতে বলা হয়, এ উদ্যোগ নেওয়া হলে সাশ্রয়ী মূল্যে দেশে স্বর্ণ ও রৌপ্যালংকার পাওয়া যাবে। এতে ক্রেতাসাধারণ উপকৃত হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এছাড়া ইতিপূর্বে বেকার হওয়া প্রায় লক্ষাধিক স্বর্ণশিল্পীর বেকারত্ব দূও হবে।
স্বর্ণ ও রৌপ্যের যথাযথ উৎস পাওয়া গেলে এদেশের দক্ষ স্বর্ণশিল্পীদের দক্ষ হাতেগড়া সুনিপূন স্বর্ণালংকার ও রৌপ্যালংকার রপ্তানীর মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে জাতীয় অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করা সম্ভব হবে বলে ওই চিঠিতে মন্তব্য করা হয়।