নাইজেরিয়ায় জাতিগত দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০

নাইজেরিয়ায় জাতিগত দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০

নাইজেরিয়ার কাদুনা এবং দামাতুরু শহরে খ্রিস্টান-মুসলিম সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়ে গেছে। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষের জেরে পরিস্থিতি সামাল দিতে কাদুনা ও ইয়োবে রাজ্যে ২৪ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছে রাজ্য সরকার।

গত মঙ্গলবার কাদুনা ও দামাতুরু (ইয়োবের রাজধানী) শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটির উত্তরাঞ্চলে ব্যাপকভাবে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নাইজেরিয়ার রেডক্রস বলছে, গত মঙ্গলবার দামাতুরুতে নতুন করে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন মানুষ নিহত হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সেনা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হামলায় কমপক্ষে ২০ বেসামরিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার তিনটি চার্চে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হওয়ার পর জাতিগত দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা স্থানীয় মুসলিমদের হামলা করে। এসময় আরো ২০/২৫ জন নিহত হয় এবং অনেককে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

বুধবার পর্যন্ত উদ্ধার ৭০টি মৃতদেহ স্থানীয় সানি আবাসা স্পেশালিস্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে সংঘর্ষের এলাকায় আরো মৃতদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে গত সোমবার জাতিগত দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার পর নাইজেরিয়ার ইয়োবে রাজ্যের রাজধানী দামাতুরুতে জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স (জেটিএফ) এবং সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়।

সানি আবাসা স্পেশালিস্ট হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালে ৪০টি মৃতদেহ এসেছে। মৃতদেহগুলোর মধ্যে বেসামরিক লোক এবং সেনা বাহিনীর ইউনিফর্ম লোক রয়েছে। বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ বলে জানা গেছে।

অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, আরো কিছু মানুষকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে হাসপাতালে রক্তের ভয়াবহ সঙ্কট দেখা দেওয়ায় তাদের জীবন সংশয় দেখা দিয়েছে।

এদিকে ইয়োবে রাজ্য সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে ২৪ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানা গেছে, তখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্তই ছিল।

হাসপাতাল সূত্র আরো জানিয়েছে, জেটিএফ’র সদস্যরা এবং কিছু মানবাধিকার সংগঠন হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করছে। তবে রাজধানীতে জরুরি আইন জারি করার কারণে উদ্ধার কাজে সমস্যা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক