বাংলাদেশ দলের ফাইনালে খেলার আশার গুড়ে বালি ঢেলে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। পর পর দুই ম্যাচ জিতে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনাল একপ্রকার নিশ্চিত করে ফেলেছে স্বাগতিক দল। যে ভাবে জিতে চলেছে জিম্বাবুয়ে, তাতে করে ফিরতি লেগে বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। বৃহস্পতিবার জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে গেলে বাংলাদেশের জন্য শেষ ম্যাচটি হবে আনুষ্ঠানিকতা।
ফাইনালের আশা শেষ ধরে নিয়েই বৃহস্পতিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফিরতি লেগের ম্যাচে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচটি জিততে পারলে গাণিতিক সমীকরণে আশা থাকবে মুশফিকদের। লিগের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারলে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা জিম্বাবুয়ের কাছে হারলে ফাইনালে যাবে বাংলাদেশ। প্রত্যেকে দুটি করে ম্যাচ জিতলে হেড-টু-হেড বিবেচনায় ফাইনালের প্রতিপক্ষ নির্বাচন করা হবে। তাতেও সমাধান না হলে রানরেট দেখা হবে।
ওসব পরের হিসেব, আগে একটি ম্যাচ জেতা দরকার বাংলাদেশের। কোচ রিচার্ড পাইবাসও ক্রিকেটারদের নির্দেশ দিয়েছেন জয়ের জন্য খেলতে। বুধবার জাতীয় দলের টিম মিটিংয়ে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে চেষ্টা করেন প্রধান কোচ। জিম্বাবুয়ে থেকে সূত্র জানিয়েছে, কোচ বলেছেন কেবল জিম্বাবুয়ে না দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারানোর সামর্থ্য আছে বাংলাদেশ দলের। কেবল টিম রুলস মেনে খেলতে হবে। তিনি বোলারদের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে টিম রুলস মেনে চলে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরাজয়ের পেছনে লাগামহীন বোলিংকে দায়ী করেছেন কোচ। পাইবাস বলেছেন, ‘তোমরা দল হিসেবে খুব ভালো। পরিকল্পনার মধ্যে থেকে খেললে যে কোনো দলকে হারাতে পারবে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাটিং দেখার পর ব্যাটসম্যানদের আক্রমণাত্মক খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন পাইবাস। পরের ম্যাচে কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলেনও ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিশাল টার্গেট পূরণ করা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব ছিলো না। প্রস্তুতি ম্যাচ হওয়ায় খেলোয়াড়দের পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন কোচ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচেও একাদশে পরিবর্তন আনবে বাংলাদেশ। জহুরুল ইসলাম বৃহস্পতিবারের ম্যাচে খেলবেন না। তার জায়গায় তামিম ইকবাল না হয় জুনায়েদ সিদ্দিকী খেলবেন। তা নির্ভর করছে তামিমের সুস্থ থাকার ওপর।