রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেবার সুযোগ নেই : এরশাদ

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেবার সুযোগ নেই : এরশাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেবার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রশ্নে বর্তমান সরকার যে নীতি গ্রহণ করেছে, তা সঠিক ও যথার্থ বলে আমি মনে করি।’

এরশাদ মঙ্গলবার এক লিখিত বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।

এরশাদ বলেন, ‘বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা আমাদের জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে গেছে। তারা এখানে বিভিন্ন ধরণের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। তারা পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশের পাসপোর্ট গ্রহণ করে বিদেশে যাচ্ছে।’
‘সেখানে বাংলাদেশি পরিচয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করছে। তার জন্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই আমরা কোনো অবস্থায়ই আর কোনো রোহিঙ্গাকে আমাদের দেশে আশ্রয় দিতে পারি না।’

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, গত কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে রোহিঙ্গা মুসলিমরা দেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেবার চেষ্টা করছে।’

‘গত ৩ দশক ধরেই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। এ সমস্যার সমাধান হতে না হতেই আবার নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে।’

‘আমি রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন, নীপিড়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে রাখাইন প্রদেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সুখে-শান্তিতে বসবাস করার সুযোগ প্রদানের জন্য মিয়ানমারের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’

এরশাদ তার বিবৃতিতে আরো বলেন, ‘আমি জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা মায়ানমারের ওপরে চাপ প্রয়োগ করুন। কেনো সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, কেনো সেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপরে নির্যাতন চলছে, তার প্রতিকারের জন্য মিয়ানমারের সরকারের ওপরে চাপ প্রয়োগ করুন।’

জাতিসংঘের প্রতি এরশাদ আরো আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের এই ১৬ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত ছোট দেশের ওপর আর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করবেন না। যদি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতেই হয়, তাহলে মিয়ানমারের প্রতিবেশী আরো যেসব দেশ আছে, সেখানে আশ্রয় দেয়ার ব্যবস্থা করুন।’

‘এছাড়া আমাদের দেশে যেসব রোহিঙ্গা শরণার্থী এখনো রয়ে গেছে, তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।’

রাজনীতি