পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

চট্টগ্রাম নগরীর নাসিমন ভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আহমেদ হাসনাত ও ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

নগরীর কোতয়ালী থানায় দায়ের হওয়া এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি আবু আহমেদ হাসনাত ও মোহাম্মদ হোসেন মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আলী মনসুরের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

এসময় তাদের আইনজীবীরা দু’জনের জামিনের আবেদন জানান। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে দু’জনকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার জানান, দ্রুত বিচার আইনে দায়ের হওয়া ওই মামলার এজাহারে আবু আহমেদ হাসনাত ও মোহাম্মদ হোসেনের নাম ছিল না। পরবর্তীতে তাদের নাম অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগপত্র দাখিলের পর দু’জনের বিরুদ্ধে পলাতক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। মঙ্গলবার দু’জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

আবু আহমেদ হাসনাত উত্তর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোহাম্মদ হোসেন রাঙ্গুনিয়ার মরিয়ম নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি।

দু’জনই চট্টগ্রামের রাজনীতিতে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কারাবন্দি সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে বিকেলে নগরীর নাসিমন ভবনের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ১৮ দলের সমাবেশ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে জোটের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে।

নগরীর কাজীর দেউড়ির মোড়ে জামায়াত-শিবিরের একটি মিছিলকে সারিবদ্ধভাবে সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য পুলিশের অনুরোধকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। প্রায় দু’ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক, জোটের নেতাকর্মীসহ কমপক্ষে ১শ’ জন আহত হন।

এ ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতা, সাংসদসহ পৃথকভাবে মোট দু’হাজার ১শ’ জনকে আসামি করে নগরীর কোতয়ালী থানায় চারটি ও খুলশী থানায় দু’টিসহ মোট ৬টি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

এর মধ্যে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় গত ২৩ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

অন্যান্য