ইউরোজোনের অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন জি-২০’র নেতৃবৃন্দ।
মেক্সিকোতে বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তির অধিকারী দেশগুলোর জোট জি-২০’র দু’দিন ব্যাপী সম্মেলনে নেতারা এ মন্তব্য করেন। তাদের মতে, ইউরোজোনের বর্তমান অবস্থা বিশ্ব অর্থনীতির জন্যও বড় ধরণের ঝুঁকি।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট হোসে ম্যানুয়েল বারোসো বলেন, ‘শুধু ইউরোপবাসীকেই নয় বরং পুরো বিশ্ববাসীকেই এসব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।’
মঙ্গলবার জি-২০’র সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বিশ্ব ব্যাপী কর্মসংস্থান বিষয়ক একটি সমন্বিত পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা অনুসারে কম ঋণগ্রস্ত দেশগুলোকে তাদের নিজেদের প্রয়োজনের ভিত্তিতে অর্থনীতিতে সমন্বয় ঘটাতে হবে এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সঙ্কট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) ৪ হাজার ৩ শ মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে চীন। পাশাপাশি ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া, চীন এবং ভারতও আইএমএফে তাদের সহায়তা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
এদিকে ইউরোজোনের অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে কী ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে সে ব্যাপারে এখনো কিছু বলেনি ইইউ নেতৃবৃন্দ।
তবে এ সঙ্কট সামাল দিতে ইউরোজোনের অর্থনৈতিক কাঠামো ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার।
অপরদিকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট এ ব্যাপারে আত্মরক্ষামূলক নীতিকেই অগ্রাধিকার দিয়ে চলেছেন।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধান পাস্কাল লামি বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাপী এই অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তার ফলে প্রত্যেকে আত্মরক্ষার নীতিকেই প্রাধান্য দিতে শুরু করেছে। এতে মুক্ত বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং বিপরীতমুখী পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।’
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও সঙ্কটাপন্ন দেশগুলোর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আত্মরক্ষার নীতির প্রতিই সমর্থন জানিয়েছেন।
রাশিয়ার নিজের জন্যও এ নীতির প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ বলে মত প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।