জামায়াত-শিবির তথা যুদ্ধাপরাধীদের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এ প্রসঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, ‘জামায়াত-শিবিরের তা-বের প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারা দেশের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে এসে যেভাবে তাদের ঘৃণা জানাচ্ছে সে জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। এই সন্ত্রাসী হত্যাকারীদের, জ্বালাও পোড়াও রাজনীতির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে নেতাকর্মীদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছি।’
যুদ্ধাপরাধী ও দুর্নীতিবাজদের বিচার বানচাল করতে এবং দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন হানিফ।
এদিকে জামায়াত-শিবিরের বোমা হামলা, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
রোববার সকালে আকস্মিক হামলা চালিয়ে জামায়াত-শিবিবের নেতাকর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, আগুন ধরিয়ে দেওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।
বেলা ১২টার দিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও পরে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ সেখানে আসেন।
এ সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘পৃথিবীর কোন শক্তি নেই যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে পারে। বোমা হামলায় মানুষ হত্যা করে কোন্ ‘মুক্তিযোদ্ধাদের’ সংবর্ধনা দিতে চায় বিএনপি?’
তিনি অভিযোগ করেন,‘ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যখন ফজরের নামায পড়ে কাজের জন্য বের হবে, সেই মুহূর্তে জামায়াত-বিএনপি অতর্কিতভাবে বোমা-ককটেল বিস্ফোরণ করে মানুষের মাঝে আতংক সৃষ্টি করেছে।’
হানিফ বলেন, ‘আমরা বার বার খালেদা জিয়াকে বলেছি- জ্বালাও পোড়াও হত্যার রাজনীতি বাদ দিয়ে জনগণের জন্য রাজনীতি করুন। কেন আজকে এই জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি? তাদের লক্ষ্য একটাই, যুদ্ধাপরাধীর বিচার বানচাল, দুর্নীতিবাজদের বিচার বাধাগ্রস্ত করে দেশের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করা। তাদের এই হত্যার রাজনীতি রুখে দাঁড়াতে আমি দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাই।