চাঞ্চল্যকর বাঘ পাচারের ঘটনায় বনবিভাগের মামলায় গ্রেফতার মোখলেছুর রহমান (৩৮) নামের এক আসামিকে জেলাহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম আজমের আদালতে মোখলেছুরকে সোপর্দ করে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত ২১ জুন রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাকে জেলহাজতে পাঠান।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির তৈমুর জানান, শ্যামনগর ইউনিয়নের সোরা গ্রামের ইস্রাফিল হোসেনের ছেলে খলেছুর রহমানকে গত রোববার তার নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাঘ পাচারের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত নুরুজ্জামান গাজী ও জহুর আলীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।
তিনি আরো জানান, মোখলেছুরের মোবাইল ফোনসেটের কললিষ্ট থেকে জানা গেছে গ্রেফতারের আগ মুহূর্তেও তিনি নুরুজ্জামান গাজীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
এদিকে বাঘের বাচ্চা পাচারের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী সোরা গ্রামের মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী মোহসেনা বেগমের জবানবন্দি নিতে পারেনি তদন্তদল।
সোমবার বনবিভাগের লোকজন তার বাড়ি গিয়ে তাকে না পেয়ে ফিরে গেছে।
সাক্ষ্য দিতে অনিচ্ছুক মোহসেনা বেগম গা ঢাকা দিয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে বনবিভাগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল গত রোববার সুন্দরবন সংলগ্ন রমজাননগর ও কৈখালীর বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখে।
খুলনা বন সংরক্ষক আকবর হোসেনের নেতৃত্বে এ টিমের অপর চার সদস্য হলেন- ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব চক্রবর্তী ও সহকারি বন সংরক্ষক (ওয়াইল্ড লাইফ) ইয়াছিন নওয়াজ।
এদিকে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সোমবার একটি অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে।
তদন্ত দলের প্রধান খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক আকবার হোসেন বলেছেন, তদন্ত টিমের সদস্যরা পাচার হওয়া বাঘের বাচ্চা স্বচক্ষে দেখা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সম্প্রতি ঢাকায় উদ্ধার করা বাঘের বাচ্চা তিনটি সাতক্ষীরা থেকে পাচার হয়েছে বলে সরেজমিনে গিয়ে তদন্তটিম নিশ্চিত হয়েছে।