আশুলিয়ার পোশাক শিল্প কারখানার মালিকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বিজিএমইএ’র সভাপতির কাছে ঢাকার পোশাক শিল্প মালিকরা কারখানার প্রতীকি চাবি হস্তান্তর এবং স্মারকলিপি দিয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে ঢাকার কারখানাও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।
সোমবার বিজিএমইএ’র অফিসে সভাপতির মো. সফিউল ইসলামের কাছে ঢাকা শহরের পোশাক শিল্প উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে এ চাবি হস্তান্তর ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক শিল্পের ক্রান্তিকালে যে সকল নৈরাজ্য চলছে, তা অবিলম্বে বন্ধ এবং দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
আশুলিয়া বন্ধ থাকায় প্রতিদিন হাজার কোটি টাকার রফতানি বন্ধ রয়েছে, উল্লেখ করে এতে জানানো হয়, এরই মধ্যে বিশ্ববাজারের ক্রেতারা বাংলাদেশের ওপর আস্থা হারিয়ে রফতানি আদেশ অন্য দেশে দিতে শুরু করেছে এতে বাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ।
আশুলিয়ায় অবস্থিত কারখানাগুলোর বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক রফতানি আদেশ বাতিল হয়েছে বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
৩০ বছরের তৈরি ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ইমেজ এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, রফতানি আদেশের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক হারে ব্যাংক ঋণের বোঝা বাড়ছে।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা জানান, আশুলিয়ার কারখানাগুলো বন্ধ থাকার কারণে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর ফলে দেশের সার্বিক অর্থনীতি হুমকির সন্মুখীন। এসব ঘটনায় উদ্যোক্তারা তাদের বিনিয়োগ নিয়ে শঙ্কিত।
এ অবস্থা চলতে থাকলে সারা দেশের তৈরি পোশাক কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয় বলেও জানান পোশাক কারখানা মালিকরা।