গ্রিসের নির্বাচনী ফলাফলে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সরকার গঠনের পথে হাঁটছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যয় সংকোচন নীতির পক্ষে অবস্থানকারী নিউ ডেমোক্রেসি পার্টি।
রোববারের গ্রিসের এই ঐতিহাসিক নির্বাচন শেষে ফলাফল অনুসারে প্রথম অবস্থানে রয়েছে রক্ষণশীল ডানপন্থী নিউ ডেমোক্রেসি।
এখনো পর্যন্ত পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী ব্যয় সংকোচন নীতির পক্ষে অবস্থানকারী অন্যান্য দলগুলোর সাথে মতৈক্যে পৌঁছতে পারলে অনায়াসে জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করতে সমর্থ হবে নিউ ডেমোক্রেসি।
তবে কোন দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছে মিশরের নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ।
প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, পার্লামেন্টের ৩ শ’টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত নিউ ডেমোক্রেসি ১ শ ২৯টি আসনে জয় পেয়েছে।
ব্যয় সংকোচন নীতির পক্ষপাতি সমাজবাদী পাসোক পার্টি পেয়েছে ৩৩টি আসন। কট্টর ডানপন্থী গোল্ডেন ডন পার্টি পেয়েছে ১৮টি আসন।
অপরদিকে কৃচ্ছ সাধন নীতির বিরোধিতাকারী বামপন্থী সিরিজা পার্টি ৭১টি আসনে জয়ী হয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গ্রিসের এই দ্বিতীয় দফা নির্বাচন নিয়ে উৎসুক ইউরোপসহ সারা বিশ্ব। কারণ গ্রিসের ইউরোজোনে থাকার জন্য ইইউ নেতৃবৃন্দের আরোপিত ব্যয় সংকোচন নীতির পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থানের কারণে গত নির্বাচনের পর সরকার গঠনে ব্যর্থ হয় দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার অনুষ্ঠিত হল গ্রিসের দ্বিতীয় দফা নির্বাচন। সঙ্গত কারণেই ইইউ নীতির অনুসারী দলগুলো জোটবদ্ধ সরকার গঠনে একমত হলে ইউরোজোনে গ্রিসের অবস্থানও নিশ্চিত হবে।
নির্বাচনে মিশরীয় তরুণদের ভোট সিরিজা পার্টির পক্ষে থাকলেও প্রবীণরা রক্ষণশীলদের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন বলে জানা যায়।
রোববারের এই নির্বাচনে এথেন্সের মধ্যাঞ্চলে একমাত্র সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পূর্বে হাতুড়ি ও ব্যাট হাতে ১০ জনের এক দল সেখানকার একটি ভোট কেন্দ্রে আক্রমণ চালায় এবং ব্যালট বাক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনায় দুইজন পুলিশ আহত হয়েছে।
তবে প্রাণবন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে কর্তৃপক্ষ।