আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, তিনি কখনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। রাজনীতি তাকে দুর্নীতি শেখায়নি। তিনি দুর্নীতিকে কখনো প্রশ্রয় দেননি।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বোয়ালিয়া বাজারে শনিবার বিকেলে কুলঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এসময় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, “আজীবন সুস্থ ও গণমানুষের রাজনীতি করেছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবো।“
এপিএসের টাকার বস্তা কেলেঙ্কারির ঘটনায় রেল মন্ত্রণালয় থেকে পদত্যাগ করার পর তিনি এই প্রথম নিজের নির্বাচনী এলাকা দিরাইয়ে আসেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তফাজ্জুল হোসেনের সভাপতিত্বে আকিল শাহ্ বাজারে এ জনসভায় সুরঞ্জিত সেন আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে বার বার ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমাকে মেরে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছে।“
তিনি জানান, শাল্লায় এবং দিরাইয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশে ২ বার বোমা হামলা হয়েছে। কিন্তু, তিনি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
দপ্তরবিহীন এ মন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে শুধু আমাকে নয়, আমার নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণে মারার জন্য গ্রেনেড হামলা হয়েছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী এসএম কিবরিয়াকে বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভালোবাসা থাকলে ষড়যন্ত্র করে, চরিত্র হননের অপচেষ্টা করে আদর্শবান রাজনীতিবিদদের রাজনীতি থেকে সরানো যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির শাসনামলে দেশে খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছিল। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ শাসনামলে দেশে খাদ্য সংকট নেই।’
সেনগুপ্ত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ভোগ করার জন্য মরিয়া নয়, একটি আধুনিক সমৃদ্ধশালী ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে মানবতা বিরোধীদের বিচার কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
সুরঞ্জিত বর্তমান সরকারের শাসনামলে স্থানীয় নানা উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ এ সরকারের মেয়াদকালেই শেষ হবে।’
তিনি স্থানীয় বিবিয়ানা কলেজে তার নামে নামকরণ করা একটি ভবনসহ ১৪টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহ্ উদ্দিন সিরাজ, শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান অবনী মোহন দাস, অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম, দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলতাব উদ্দিন, দলীয় নেতা সুহেল আহমদ, মিলন মিয়া, একরার হোসেন, মান্না মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।