গ্রাহকের অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা নিচ্ছে ডাচ-বাংলা!

গ্রাহকের অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা নিচ্ছে ডাচ-বাংলা!

গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত প্রায় ৫০০ কোটি টাকা তুলে নিচ্ছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল)। ব্যাংক হিসাবে সর্বনিম্ন জমার পরিমাণ বাড়িয়ে ব্যাংকের হিসাবধারীদের কাছ থেকে এই অর্থ তুলে দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের হিসারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম স্থিতির পরিমাণ বাড়িয়েছে।

সূত্র জানায়, সঞ্চয়ী হিসাবের ন্যূনতম জমা বা স্থিতি ৫০০ থেকে বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা এবং চলতি হিসাবের ন্যূনতম জমা দুই হাজার থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা করা হয়। আর এভাবেই ব্যাংক অতিরিক্ত এই অর্থ সংগ্রহ করবে। আগামী জুলাই মাস থেকে এই হার কার্যকর হচ্ছে।

জানা গেছে, চলমান তারল্য সংকট (নগদ মুদ্রার সংকট) থেকে কিছুটা রেহাই পেতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ডিবিবিএলের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২৩ লাখ ৫০ হাজার। আর শাখার সংখ্যা প্রায় ১২১। আর এটিএম বুথের সংখ্যা দুই হাজার ৭৯টি। সঞ্চয়ী এবং চলতি দুই ধরনের হিসাবের ক্ষেত্রে তারা মোট সাড়ে চার হাজার টাকা বাড়িয়েছে।

বাড়ানোর এই হার ধরে হিসাব করে দেখা গেছে, ডাচ-বাংলা তার গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত প্রায় ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে পারবে।

সম্প্রতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ ন্যূনতম জমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক সার্কুলার জারি না করলেও এটিএম বুথগুলোতে এতথ্য বিজ্ঞাপন আকারে টানিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

ব্যাংক এভাবে জমার হার বাড়াতে পারে কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক রবিউল হাসান জানান, আর্থিক খাতের সংস্কারের আওতায় ব্যাংকগুলোকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তারা নিজেরাই আমানত ও ঋণের সুদের হার, বিভিন্ন হিসাবে সুদ, স্থিতির পরিমাণ নির্ধারণ করে নিতে পারে। তবে তা একক কোনো গ্রাহকের জন্য নয়। আবার অস্বাভাবিকভাবেও নয়। অবশ্যই যোক্তিকভাবে এবং সার্কুলার জারি করে করতে হবে।

এদিকে ন্যুনতম জমার পরিমাণ এভাবে বড় অংকে বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অনেক গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তবে এব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অর্থ বাণিজ্য