রোববার রাঙামাটির বরকল উপজেলার শুভলং ইউনিয়নের চিলাকধাঁক এলাকা থেকে কলা বোঝাই বোট থামিয়ে অস্ত্রের মুখে ১৩ জনকে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এ ঘটনার জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করলেও ইউপিডিএফ অস্বীকার করেছে।
এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যার পর জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বনযোগীছড়া ইউনিয়নের চটপটিঘাট এলাকা থেকে রাঙামাটি সদরে কলা বিক্রির জন্য একটি বোটে কলাবোঝাই করে নিয়ে আসছিলেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। তারা বরকল উপজেলার শুভলং ইউনিয়নের চিলাকধাক এলাকায় পৌঁছলে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ২ থেকে ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে কলা বোঝাই বোটটি থামায়। এসময় বোটে থাকা ১৩ জনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
অপহৃতরা হলেন- উজ্জলেন্দু চাকমা(৩৫), রুপম চাকমা(৩২), ইল্লো চাকমা(৩২), রেঞ্জার চাকমা(২৩), মণি চাকমা (২৭), সাধন চাকমা ওরফে ভট্টায়ে(৪০), কান্তি চাকমা(৩৯), অজিত চাকমা ওরফে কালায়ে(৪০), এলেন চাকমা(২৬), অমর সিং চাকমা(১৮), পূর্ন বিকাশ চাকমা(৩৫), কানুনগো চাকমা(২৮) ও জুনেল চাকমা (২৪)। অপহৃত সবাই কলা ব্যবসায়ী। তাদের বাড়ি জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বরকল উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর চাকমা ও জুরাছড়ি উপজেলা সমন্বয়কারী রিটেন চাকমা এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করে অবিলম্বে নিরীহ ব্যবসায়ীদের মুক্তি দাবি করেছেন।
তবে ইউপিডিএফের মূখপাত্র মাইকেল চাকমা এই অপহরণের ঘটনার সঙ্গে ইউপিডিএফ জড়িত নয় দাবি করে বলেছেন, কারা এ অপহরণ ঘটনা ঘটিয়েছে আমাদের জানা নেই। সাধারণ মানুষ বা ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার প্রশ্নই আসে না।
তিনি দাবি করেন, ইউপিডিএফ এ ধরণের কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।
বরকল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল করিম অপহরণের ঘটনাটি শুনেছেন জানিয়ে বলেন, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে এই অপহরণের ঘটনা ঘটলেও এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তবে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী অপহৃতদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে।