অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, “বিনিয়োগ বাড়ানো ও দুর্নীতি রোধে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে ৪২ থেকে ৮২ শতাংশ পর্যন্ত কালো টাকা রয়েছে। এ টাকাকে বিনিয়োগের ধারায় আনতেই নির্দিষ্ট হারে জরিমানা নিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।”
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল আয়োজিত ২০১২-১৩ প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন, অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। এসময় উপস্থিত ছিলেন অর্থসচিব ড. মোহাম্মদ তারেক, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন খান আলমগীর, বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, অধ্যাপক আবু আহমেদ, নারী নেত্রী শিরীন আক্তার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্যবসায়ী সংগঠনের সাবেক নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাজেট আলোচনায় অংশ নেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আগামী বাজেট বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এটা ঠিক না থাকলে একদিকে বিদেশি বিনিয়োগ কমবে অন্যদিকে দেশি বিনিয়োগও হুমকির মুখে পড়বে। এজন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সবার প্রতি আমার অনুরোধ।”
কালো টাকা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমার খুবই ভালো লেগেছে যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন। মুলত দুর্নীতি রোধেই কালো টাকা বিনিয়োগের ধারায় আনতে এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে।”
মূল্যস্ফীতি ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে সচিব বলেন, “আইএমএফ’র সঙ্গে তেলের দাম বাড়ানোর কোনো শর্তই আমাদের নেই। মূল্যস্ফীতি কমাতেই আমরা তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জ্বালানি তেলে সরকার যে ভর্তুকি দেয় সেটা ব্যাংক থেকে নিয়েই দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা তৈরি করে সরকারকে যোগান দেয়। এর ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়।”