মাত্র ছয় সপ্তাহের ব্যবধানে রোববার গ্রিসে নতুন করে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক দুদর্শায় আক্রান্ত গ্রিসের পার্লামেন্টের এই পুন:নির্বাচন ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক মন্দা আক্রান্ত ইউরোজোনের ভবিষ্যৎ অনেকটাই গ্রিসের এই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভরশীল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবারের চূড়ান্ত নির্বাচনী ৠালিতে রক্ষণশীল নিউ ডেমোক্রেসি পার্টির প্রধান এই নির্বাচনকে গ্রিসের ইউরোতে থাকা না থাকার সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সিরিজা পার্টি ঘোষণা করেছে তারা ইউরো জোনে থাকার পক্ষে, তবে গ্রিসের জন্য ইইউ আরোপিত কঠোর কৃচ্ছ্যতা নীতির বিরোধিতা করে যাবে।
নির্বাচনের পূর্বে শেষ মুহূর্তের বেসরকারি জনমত জরিপ অনুযায়ী রোববারে নির্বাচনে মূলত এই দুটি দলের মধ্যেই প্রকৃত লড়াই হবে।
রোববার অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে প্রতি সারা বিশ্বের উৎসুক মানুষের নজর থাকবে। মূলত এই নির্বাচনেই নির্ধারণ হবে গ্রিস ইউরো জোনে থাকবে কি না। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে ইউরো থেকে গ্রিস বের হয়ে গেলে সে ঢেউ ছড়িয়ে পড়বে অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুকতে থাকা ইউরোজোনের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের মাঝেও।
ছয় সপ্তাহের ব্যবধানে গ্রিসে এটি দ্বিতীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন। গত ৬ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলো সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় মন্দাপীড়িত দেশটিতে পুন:নির্বাচন আবশ্যিক হয়ে দাড়ায়।
এদিকে শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। নির্বাচন পূর্ব সর্বশেষ ৠালিতে শুক্রবার রক্ষণশীল নিউ ডেমোক্রেসি পার্টির প্রধান অ্যান্তোনিস সামারাস সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, গ্রিসকে ইউরো জোনের মধ্যে রেখেই সঙ্কট উতরাতে সক্ষম হবেন তিনি।
উল্লেখ্য, গ্রিসের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য ইইউ প্রনীত কৃচ্ছতা নীতির পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে তার দল। তবে কৃচ্ছতা নীতির কয়েকটি দিক নতুন করে বিবেচনা করবেন বলে তিনি গ্রিকবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন।
এদিকে সামারাসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থি সিরিজা পার্টির তরুন নেতা অ্যালেক্সিস সিপরাস বৃহস্পতিবারে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত র্যালিতে স্পষ্ট করে বলেছেন তার দল ইইউ পরিকল্পিত এই কৃচ্ছ্যতা নীতিকে মানবে না। তিনি বলেন, ‘ব্রাসেলস আমাদের প্রতীক্ষায় আছে, জনগণের অধিকারের পক্ষে কথা বলতে এবং কৃচ্ছ্যতা নীতিকে বাতিল করতে সোমবার আমরা আসবো।’