ক্রেতাদের মতামত, পছন্দ, অভিযোগ আর প্রত্যাশার কথা জানতে রিহ্যাব সামার ফেয়ারে চঞ্চল পায়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন এক ঝাঁক তরুণ গবেষক।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ মেলায় তারা রিহ্যাবের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের হয়ে কাজ করছেন।
আবাসন প্রকল্প মানুষের দোড়-গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা নানা ধরনের জরিপ ও গবেষণা করছেন। রিহ্যাব মেলায় এ ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম। তরুণ-তরুণী গবেষকদের প্রাণবন্ত কাজকর্ম ও আলাপচারিতা মেলায় একটি ভিন্ন আবহ তৈরি করেছে।
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর উদ্যোগে বাংলাদেশের আবাসন সংকট নিরসন এবং পরিবেশবান্ধব বাসস্থান গড়া। ক্রেতাদের মতামত, পছন্দ, অভিযোগ ও প্রত্যাশা কি তা জানা। আবাসন ব্যবসায়ীদের কি করণীয়। নতুন বাজার কিভাবে তৈরির করা যায় এসব বিষয় জানতেই রিহ্যাবের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের এই উদ্যোগ।
এই গবেষক দলে কাজ করছেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১৩ জন, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ১ জন এবং ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ১ জনসহ মোট ১৫ জন। টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রিহ্যাবের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের গবেষক সুমনা শারমিন। রিহ্যাবের রিসার্চ ম্যানেজার লিও ভাস্কর দেউরি তাদের তত্ত্বাবধান করছেন।
টিমে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাঈদ সাইদুল, কাজী আসিফুল ইসলাম, আলাউদ্দিন মো. রানা, কাওসার বিন আলম, শাম্মী আকতার, শোয়াইব আনওয়ারি প্রান্তিক, আসিফ হাসান, নাফিজা তাবাসসুম, সাদিয়া ইসলাম সাবা, অনসূয়া, নাদিম, উর্মি ও সুমনা এবং ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিবিএর ছাত্রী রেজওয়ানা চৌধুরী।
রিহ্যাবের রিসার্চ ম্যানেজার লিও ভাস্কর দেউরি বলেন, “আবাসন সেক্টর নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। রিহ্যাব মনে করে এই সমস্যা সমাধানে ও নতুন বাজার সন্ধান করতে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। আমরা চারদিনে এই টিমের জন্য প্রায় দেড়লাখ টাকা বরাদ্দ করেছি। আমরা তাদের এ সেক্টরের ওপর প্রশিক্ষণও দিয়েছি। আশা করি এর সুফল আসবে।”
তিনি বলেন, “মেলার পর গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করবো। রিহ্যাব সেসব তথ্য আবাসন ব্যবসায়ীদের জানাবে ও নতুন কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবে।”
গবেষক শিক্ষার্থী সাঈদ সাইদুল বলেন, “এ বছরই অনার্স শেষ করবো। আমার স্বপ্ন দেশের বসুন্ধরা, কনকর্ড গ্রুপের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কোনো আবাসন প্রতিষ্ঠানে কাজ করবো। আমি মনে করি, এই সেক্টরে দেশের মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ আছে।”
নাফিজা তাবাসসুম বলেন, “আবাসন সেক্টর মানুষের একটি মৌলিক প্রযোজন পূরণে কাজ করছে। নানা বাধার পরেও এই সেক্টরে প্রায় ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই সেক্টর দিনে দিনে আরও বড় হবে। সুতরাং এই সেক্টরকে গুরুত্ব দিয়ে সবার ভাবা উচিত। আমরা এ সম্পর্কে আরও জানতে কাজ করছি।”