হরতালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানো মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৮ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দের বিচার শুরু হচ্ছে আগামী ২০ জুন।
বুধবার এ মামলার পলাতক জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল হোসেন, ঢাকা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল, ছাত্র শিবিরের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ও সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার ওরফে জসিমকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তির কপি আদালতে দাখিল করা হয়।
মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় মহানগর হাকিম এরফান উল্লাহ আগামী ২০ জুন আসামিদের উপস্থিতি ও চার্জগঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।
গত ৬ জুন একই আদালত পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হতে সংবাদপত্রে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এর ফলে পলাতক চার আসামি আদালতে হাজির না হলে কিংবা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার না হলেও তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের রাতে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে একটি গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হরতাল সমর্থকরা।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইসমাইল মজুমদার বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় দ্রুত বিচার আইনের ৪ ও ৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৮ দলীয় জোটের ৪৪ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
গত ১০ মে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোটের ৪৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন পরবর্তীতে গত ২৭ মে আব্দুল জব্বারকে অভিযুক্ত করে নতুন করে সম্পুরক চার্জশিট দেওয়া হয়।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, স্থায়ী কমিটির সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) আ স ম হান্নান শাহ, সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার মোশারফ হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস, স্বনির্ভর সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ফজলুল হক মিলন, আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সংসদ সদস্য ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবুন্নবী খাঁন সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমীরুল ইসলাম খাঁন আলীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান খোকন, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান ছালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি নেতা, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, ঢাকা মহানগর যুবদলের সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম মজনু, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, ঢাকা মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক ইয়াছিন আলী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নীরব, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি’র চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আঃ মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হক নাছির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক কামাল আনোয়ার আহমেদ লিটু, বিএনপি নেতা ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আবুল বাসার, বিএনপি নেতা ও ৪০ নং ওয়ার্ড কমিশনার আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার , লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানা বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান ওরফে এল রহমান, বিএনপির সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নবী সোলায়মান, খিলগাঁও থানা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক মিশনার ইউনুছ মৃধা, তিতুমীর কলেজের ছাত্রদল সভাপতি মো. ইসমাইল খান শাহীন, মোহাম্মদপুর থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. মান্নান হোসেন শাহীন, পুড়িয়ে ফেলা বাসটির কনডাক্টর সোহেল ওরফে সোহান মিয়া, হেলপার মো. জসিম উদ্দিন, মানিক রতন এবং জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল হোসেন, ঢাকা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল, ছাত্র শিবিরের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ও সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার ওরফে জসিম।
২১ মে সব আসামির বিরুদ্ধেই চার্জশিট আমলে নেন সিএমএম আদালত।