আসছে ১৭ জুন নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় এনটিভি মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭ টায় জাঁকজমকপূর্ণ এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢালিউড অ্যাওয়ার্ডের একাদশ আসরের পর্দা উঠতে যাচ্ছে। আয়োজক প্রতিষ্ঠান এসএমপি’র কর্ণধার আলমগীর খান আলম সম্প্রতি জ্যাকসন হাইটের পালকি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠানের সার্বিক দিক সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। পুরস্কারের পাশাপাশি অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষন হল বাংলাদেশের উদীয়মান এবং বিখ্যাত সব তারকা শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আয়োজকরা এবারের অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানকে চমকপ্রদ করতে কিছু নতুনত্ব যোগ করছেন যা কিনা পুরো অনুষ্ঠানটিকে মানগত দিক দিয়ে অন্য রকম উচ্চতায় নিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানে নতুন একটা ধারা যুক্ত হবে বলে তাদের আশা। আয়োজকরা মনে করেন এবাবের অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি হবে এযাবৎ কালের সেরা। মূল অনুষ্ঠান শুরুর এক ঘন্টা আগে এই প্রথম বারের মত তারকারা লিম্যুজিনে চড়ে অনুষ্ঠান স্থলে হাজির হবেন রেড কার্পেট রিসিপশনে। সিনে বাংলা টিভি রেড কার্পেট থেকে তারকা শিল্পীদের ফটো সেশনের আয়োজন করবে। পুরো অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে আমেরিকার একমাত্র টিভি চ্যনেল সিনেবাংলা। এছাড়া অনুষ্ঠানের চৌম্বুক অংশ প্রচার করবে এনটিভি এবং বাংলাভিশন ইউএসএ।
এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান আয়োজনের পেছনের কার্যকলাপ নিয়ে গত কয়েক বছর যাবৎ নিউইয়র্ক বাঙ্গালী কমিউনিটিতে প্রচুর কানাঘুষার সৃষ্টি হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি ঘিরে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী সেলিব্রেটি শিল্পীদের আমেরিকায় যওয়া রীতিমত চোখে করার মত। তার মধ্যে টপক্রেজ মডেলকন্যা, অভিনেত্রী এবং গায়িকাদের প্রাধান্য আয়োজকদের কাছে বেশি। অনুষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য নারী শিল্পীদের নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা এবং ভোগবিলাসে লিপ্ত হওয়া বলে উল্লেখ করেছেন সেখানখার স্থানীয় বাঙ্গালীরা। যার প্রমাণ মিলেছে গত কয়েক বছর অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের ইতিহাসে। হালের টপক্রেজ মডেল ও অভিনেত্রীরাও বাড়তি উপার্জনের জন্য নিজেদের বিকিয়ে দিতে এসব স্বার্থান্বেষী লোভীদের প্রতি মুখিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাঙ্গালীরা। ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যোগদানকারী নারী শিল্পীদের নিয়ে আয়োজকদের বেহায়াপনা এবং নানাবিধ অসাধু কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সোচ্চার হতে দেখা গেছে নিউইয়র্কের স্থানীয় বাঙ্গালী সাংবাদিকদের।