পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে: অর্থমন্ত্রী

পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ পাচার (মানি লন্ডারিং) প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় সমন্বয় কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “পাচার হয়ে যাওয়া অর্থের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কত টাকা গেছে, কত টাকা ফিরিয়ে আনা সম্ভব ইত্যাদি দেখা হচ্ছে।“

প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান, “ অর্থ পাচার (মানি লন্ডারিং) প্রতিরোধ  আইনে আরাফাত রহমান কোকো ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের নামে তিনটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।“

এ পর্যন্ত বিদেশে পাচার করা কত টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “খুব বেশি নয়“।

বৈঠক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আজকের বৈঠকে অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং আইনটি পর্যালোচনা করা হয়েছে। আইনটি বাংলায় ছিল, এটাকে ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে’।

মানি লন্ডারিং আইনের সংশোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মূল আইনটি যথেষ্ট ছিল না“।

উল্লেখ্য, মুদ্রা পাচারবিষয়ক এশিয়া অঞ্চলভিত্তিক সংস্থা এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিং-এর (এপিজি) সদস্যপদ প্রাপ্তির জন্য গত দেড় বছর ধরে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা এগমন্ট গ্রুপের সদস্য হওয়ার জন্য গত চার বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ ধারাবাহিকতায় আগামী জুলাইয়ে রাশিয়ায় এগমন্ট গ্রুপের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ দুই সংস্থার সদস্যপদ প্রাপ্তির পূর্বশর্ত হিসেবে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এ দুই সংস্থার সদসপদ পেলে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এদের সদস্য না হলে বাংলাদেশকে একটি ধূসর অঞ্চলের (গ্রে এরিয়া) দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকতে হবে। এটা আমাদের জন্য জাতীয় লজ্জার বিষয়। এটা যাতে হতে না হয় এবং এখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই এ প্রচেষ্টা“।

এর সঙ্গে কালোটাকা সাদা করার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “কালো টাকা সাদা করার বিষয়টি গতবারও ছিল। গতবার তারা এটা নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছিল। এরপর তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই আয়কর আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে।“

অর্থ বাণিজ্য