সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশকে কেন্দ্র করে মিশরে নতুন রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। মিশরের সুপ্রিমকোট বৃহস্পতিবার এক আদেশে দেশের পার্লামেন্টের এক তৃতীয়াংশ সদস্যকে অযোগ্য ঘোষণা করে। পাশাপাশি পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষকেও বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরপরই মিশরের অন্তবর্তীকালীন শাসন কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কাউন্সিল অব দি আর্মড ফোর্সেস এক বিবৃতিতে জানায়, যদি পার্লামেন্টের একটি অংশ অবৈধ হয় তবে সম্পূর্ণ পার্লামেন্টকে বিলুপ্ত করা উচিৎ।
পার্লামেন্ট সংক্রান্ত রায়ের পাশাপাশি মিশরের সাংবিধানিক আদালত সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের শেষ প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিকের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রতিবন্ধকতা উঠিয়ে নেয়।
এদিকে মিশরীয় মিডিয়ায় আদালতের রায়ে সম্পূর্ণ পার্লামেন্ট নাকি পার্লামেন্টের একটি অংশ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে তা নিয়ে পরস্পর বিপরীতমুখী খবর পাওয়া গেছে।
তবে আল জাজিরার প্রতিনিধি রাওয়া রাগেহ জানিয়েছেন, তার হাতে আদালতের সিদ্ধান্তের একটি কপি হাতে এসেছে যার মধ্যে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে সংবিধান লঙ্ঘণের দায়ে সমগ্র পার্লামেন্টকেই বিলুপ্ত করা হয়েছে।
এদিকে মিশরের ক্ষমতাসীন সুপ্রিম কাউন্সিলের একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে ,সামরিক কাউন্সিল পুনরায় আইন প্রণয়নের কর্তৃত্ব হাতে নেবে এবং শুক্রবারের মধ্যে একটি নতুন সাংবিধানিক পরিষদ গঠন করবে। তবে এই খবরের সত্যতা এখনও যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
মোবারক আমলের সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী এবং আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী আহমেদ শফিক আদালতের এই রুলিংকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে বলে রাজনৈতিক ভীতি প্রদর্শনের সময় শেষ।
এদিকে আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মোহামেদ আল আরিয়ান সাংবাদিকদের জানান, এই রায় দেশকে অন্ধকার গহবরে নিক্ষেপ করলো।