তিউনিসিয়ার সাবেক একনায়ক বেন আলির আরো ২০ বছরের কারাদণ্ড

তিউনিসিয়ার সাবেক একনায়ক বেন আলির আরো ২০ বছরের কারাদণ্ড

তিউনিসিয়ার একটি সামরিক আদালতে নতুন করে ২০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন গণঅভ্যূত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জয়নুল আবেদিন বেন আলি। আদালতে তার অনুপস্থিতেই এই রায় ঘোষণা করা হয়। গণআন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালনার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বেন আলিকে এই দণ্ড প্রদান করে সামরিক আদালত। তবে হত্যা, সরকারি অর্থ লুটপাট এবং মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকাসহ অন্যান্য অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলার বিচার এখনও অব্যাহত আছে।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বেন আলি সৌদি আরবে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গত বছরের জানুয়ারিতে আর্দানাইন শহরে চার যুবকের গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। মূলত এই হত্যা মামলারই রায় ঘোষণা করা হয় বুধবার। আদালত গুলি চালানোর নির্দেশদাতা হিসেবে বেন আলিকে দোষী সাব্যস্ত করে।

গত বছরের ১৪ জানুয়ারিতে বেন আলির তিউনিসিয়া থেকে পলায়নের একদিন পর ১৫ জানুয়ারি তার ভাতিজা কায়েসকে বহনকারী বিমানকে রুখে দিতে পূর্বাঞ্চলীয় এই উপকূলীয় শহরে বিক্ষোভকারীরা সমবেত হলে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায়। এতে নিহত হয় হয় চার তরুণ বিক্ষোভকারী।

বেন আলি দণ্ড ঘোষণার পাশাপাশি আদালত তিউনিসিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু সদস্যকেও বেন আলির শাসনামলে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত। যদিও এদের অনেকেই আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

বেন আলিকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন অভিযোগে ৬৬ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তবে এখনও তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।

বেন আলি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোওয়ানা জারি হয়েছে। তবে আশ্রয়দাতা সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদের ফেরত দিতে তিউনিসিয়ার আবেদনে সাড়া দিচ্ছে না।

বুধবার আদালতে তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দাবি করেন একজন সামরিক কৌসুঁলি। সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় থালা ও কাসেরিন শহরে ২২ জন বিক্ষোভকারীকে হত্যার দায়ে তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড চান তিনি।

গত ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে একনায়কতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় তিউনিসিয়ায়। আন্দোলনের মুখে জানুয়ারির ১৫ তারিখে সপরিবারে  দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বেন আলি।

আন্তর্জাতিক