রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশ (ইপিবি) তার রেজিস্ট্রিকৃত টেক্সটাইল ডিভিশনের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চালু করেছে অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম। অতীতে এসব রেজিস্ট্রিকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোকে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো’র বিভিন্ন ধরনের ফি ম্যানুয়ালি প্রদান করতে হতো, যা রফতানিকারকদের জন্য অসুবিধাজনক ও সময়সাপেক্ষ ছিল।
করপোরেট গভর্নেন্স নিশ্চিত করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করতে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো বাংলাদেশ, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের সঙ্গে মঙ্গলবার একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে তাদের রেজিস্ট্রিকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এ অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে।
সমঝোতা চুক্তিটি রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর টেক্সটাইল ডিভিশনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। এ ই-পেমেন্ট গেইটওয়ে প্রবর্তন করার মাধ্যমে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো’র রেডিমেড গার্মেন্টস্ সেক্টর এখন থেকে তাদের বিভিন্ন সার্ভিস ফি’র পেমেন্ট সেবা সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ক্যাশ জমাদানের মাধ্যমে আরো দ্রুত, সহজ ও নিরাপদ করবে। এক্ষেত্রে পে-অর্ডার ক্লিয়ারেন্সের জন্য আর অপেক্ষায় থাকতে হবে না।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আন্তর্জাতিকমানের প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল সেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর ব্র্যাক ব্যাংক। বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংক ১২ লাখেরও বেশি গ্রাহকের মধ্যে ব্যাংকের রিয়েল টাইম অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে সেবা প্রদানে নিয়োজিত আছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম আবুল কাশেম এমপি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম হোসেনসহ সরকার ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও শুভাশীষ বসু এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
সরকার দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের দ্রুত সেবা চালু করতে খুবই উদ্যোগী এবং এ অনলাইন ফি পেমেন্ট সিস্টেম হচ্ছে সেই মিশনের আরেকটি বাস্তবায়ন।
উল্লেখ্য, ব্র্যাক ব্যাংক দেশের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল একটি ব্যাংক। বর্তমানে ১৫৪টি শাখা, ৩০৪টি এটিএম বুথ, ৪০০টি এসএমই ইউনিট অফিস এবং ৭,০০০ জনেরও বেশি জনবল নিয়ে এ ব্যাংকের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত রয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংক এখন আর্থিক খাতের সব ধরনের সেবাই প্রদান করে থাকে। বর্তমানে এ ব্যাংকের ১.২ মিলিয়ন বা ১২ লাখেরও বেশি গ্রাহক রয়েছেন। বাংলাদেশে মাত্র ১০ বছরের কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক দেশের সর্ববৃহৎ এসএমই অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংক এখন রিটেইল, করপোরেট, এসএমই, প্রবাসীসহ ব্যাংকিংয়ের অন্যান্য ক্ষেত্রেও সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখে চলেছে।
২০১০ সালে ব্র্যাক ব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও আইএফসির বিবেচনায় এশিয়ার বিকাশমান বাজারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে টেকসই ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক যেটি বিশ্বের সবচেয়ে টেকসই ব্যাংকগুলোর একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক বা জোট দ্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ব্যাংকিং অন ভ্যালুজের (জিএবিভি) একটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।