দেশের অর্থনীতির ১৯ সূচকের মধ্যে রেমিটেন্স ছাড়া বাকি সূচকগুলোর অবস্থা তেমন ভালো নয় বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট (পিআইআই) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ২০১২-১৩ অর্থ বছরের বাজেট বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘বাকি সূচকগুলোর মধ্যে রাজস্ব আদায়ের ভালো অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু ২০১০-১১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় প্রবৃদ্ধি ছিলো ২৭ শতাংশ, যা কমে চলতি অর্থবছরে ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তাই এটিরও প্রবৃদ্ধি কমেছে।’
২০১২-১৩ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এজন্য বাজেট প্রস্তাবনায় তিনটি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে থাকেন এবং সঞ্চয়পত্রে চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত তিনশ’ ৮০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের সঞ্চয় করার ক্ষমতা কমেছে। তাই ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এমএ তাসলিম বলেন, ‘বাজেট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের করা চুক্তির আলোকে করা হয়েছে।’
সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘অর্থনীতি বড় একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। এখন সব সূচক ভালোভাবে কাজ করলেই অর্থনীতি একটি ট্র্যাকে উঠে যাবে।’
এছাড়া অর্থবছর গণনা এপ্রিল থেকে মার্চ করা হলে বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মেট্রোপলিটন চেম্বারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিহাত কবীর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দেশে ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট কমে গেলে আগামী কয়েক বছর দেশের অর্থনীতিতে খারাপ প্রভাব পড়বে।’