প্রজন্ম থেকে প্রজন্মন্তরে প্রজ্জ্বলিত হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনির্বান শিখা।

প্রজন্ম থেকে প্রজন্মন্তরে প্রজ্জ্বলিত হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনির্বান শিখা।

মাহবুব-উল-আলম খান

একটির পর একটি ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। সরকারের সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। এত নজরদারীর মধ্যেও বাচ্চু রাজাকার পালাতে সক্ষম হলো। সর্ষের ভিতর এত ভুত আছে সরকারের সেদিকে খেয়াল আছে কি-না জানিনা। ৭১ এর জঘন্যতম কসাই বাচ্চু রাজাকারের পলায়ন রহস্যজনক ঘটনা। এই ঘটনার পর আমাদের বিভিন্ন বাহিনী কতটুকু কি করতে পারছে বোধগম্য নয়। তারপর হঠাৎ করে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী উধাও। এর পেছনে কার হাত আছে কে জানে। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ড. ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। অবশেষে সর্বোচ্চ আদালতে তিনি নিজে গেছেন এবং হেরে গেছেন। এতে সরকারের কি করার আছে। ড. ইউনুস পশ্চিমাদেশ, আমেরিকা, ক্লিনটন, হিলারী ক্লিনটনের শরনাপন্ন হলেন, তারা তদবির করলেন। যেখানে আদালতে বিষয়টি ফয়সালা হয়েছে সেখানে আর কিছু বলা অবান্তর। গত ০৫/০৫/১২ তারিখ হিলারী ঢাকা সফরে এসেছেন। তার শ্রদ্ধেয় বন্ধু ড. ইউনুসের জন্য প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছেন। তিনি ড. ইউনুসের ও ব্রেক এর চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হোসেন আবেদ এর সাথে আলাদা বৈঠক করেছেন অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে। ড. ইউনুস নোবেল বিজয়ী বাঙালী; এ আমাদের গর্ব, অহংকার। নোবেল কমিটি তাকে শান্তিতে এ পদকে ভূষিত করেছেন, এতে অনাহুত বিরুপ কথা বলা শিষ্টাচার বহির্ভূত। কি কারণে ও কেন তিনি শান্তিতে এ পুরস্কার পেয়েছেন তা সেই নোবেল কমিটি জানেন ও বুঝেন। এ নিয়ে অনাহুত কোন কথা বলা ঠিকনা। রাজনীতিবিদদের হতে হবে উদার ও পরম সহিষ্ণু। বিরোধীদের মিষ্টি কথায় দমন করা ও কথার চাতুর্য্যে পরাভূত করাই একজন দক্ষ রাজনীতিবিদের কাজ। কাউকে আঘাত দিয়ে কথা বলা ঠিকনা। রাজনীতিবিদদের হতে হবে আদর্শবান ও নীতিবান। বিরূপ সমালোচনা নয়; একের অনলে বহুরে আহুতি দিয়ে এই নীতিতে হতে হবে পরিপক্ক। বেফাঁস কথা বলে কাউকে বিরোধী শিবিরে ঠেলে দেওয়া বোকামী এবং ভোট নষ্ট। কয়েকজন মন্ত্রীর এহেন অবান্তর বক্তব্য সারাদেশে অনেক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। রাজনীতিবিদদের উহা বুঝতে হবে। অপরিনামদর্শী ও অর্বাচীনদের উহা কে বুঝাবে?

বিরোধীদল বলছে ইলিয়াস আলীকে সরকার গুম করেছে। প্রমাণ থাকলে তা জনসম্মুখে তাদের প্রকাশ করা উচিৎ। সরকারের দায়িত্ব তাকে উদ্ধার করা। একে অপরকে দোষ দেয়া বোকামি। এই কাজ কে করল তা কিন্তু অন্ধকারে। ১৯৭১ সনে এদেশে হত্যা ও গুম শুরু হয়েছে। রাজাকার, আলবদর, আলশামস, দালাল, যুদ্ধাপরাধী গো আযম সাকা, ফকা, নিজামী, মুজাহিদী, সাঈদী, কাদের মোল্লা, কামরুজ্জামানরা এসব কাজ করেছে ১৯৭১ সনে। আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, বুদ্ধিজীবীদের, জাতির বিবেকদের এভাবেই হত্যা করেছে এইসব নরপিশাচরা। সরকারিদল ও বিরোধীদলের একে অপরের কাদা ছুঁড়াছুড়ির সুযোগ নিচ্ছে এইসব পাকিস্তানী প্রেতাত্মারা। দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে এরা লিপ্ত। ২০০৮ এর মহান বিরাট বিজয়ের পর হতেই এরা একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। সরকার কি তা উপলব্ধি করতে পারছেন? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাৎ করাই এর মূল উদ্দেশ্য। সরকারের ভিতর কত সাপ ঢুকে আছে কে জানে? এরা অতি কাছের মানুষ সেজে নীরবে স্যাবটেজ করে যাচ্ছে। সর্ষের ভিতর কত ভূত লুকিয়ে আছে কে জানে? সরকারের ভিতর লুকিয়ে থাকা ইতর চরিত্র গুলি সকল শুভ কাজে বিঘœ ঘটাচ্ছে বললে অত্যুক্তি হবেনা। রাজনীতিতে, প্রশাসনে, পুলিশে, বিভিন্ন বাহিনী এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এহেন কর্মকান্ড চলছে সুকৌশলে। সুষ্ঠু কাজ যাতে বিঘিœত হয় উহাই আসল উদ্দেশ্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যাতে বাধাগ্রস্থ হয়, বিলম্বিত হয় উহাই উদ্দেশ্য। আর মাত্র দেড় বছরে নির্বাচনী অঙ্গীকার কতটুকু বাস্তবায়িত করতে পারবে আল্লাহ মালুম। বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে থাকা চরিত্র গুলো সরকারকে মিস গাইড করে চলছে অনবরত। চারিদিকে একটি হযবরল অবস্থা। কেউ কি দেখার নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই যদি সব ব্যাপারে কথা বলতে হয়, সুরাহা করতে হয়, তাহলে মন্ত্রীসভা, উপদেষ্টা পরিষদের কি কিছুই করার নেই? বিভিন্ন টকশোতে বিভিন্ন চরিত্রের লোকজন যেভাবে ফ্রি স্টাইলে সরকারের সমালোচনা করছেন এর বিপরীতে সরকারি দল ন্যায্য জবাব দিতেও পারছেননা, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অর্জনটুকুও বলতে পারছেনা। খালেদা জিয়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে কেণ্টনমেন্টে ও গুলশানে দুইটি সরকারি বাড়ি প্রায বার বিঘা জায়গাসহ স্থায়ী মালিকানা নিয়েছেন। তিনি কেণ্টনমেন্টের বাড়ির জন্য আদালতে গেছেন, আইন ন্যায় বিচার করেছে তাকে এই বাড়ি হতে উচ্ছেদ করেছে। এতে সরকারের কিছুই করার নেই। তিনি এই বাড়ির জন্য অনেক  কেঁদেছেন। তাকে ইতোপূর্বে কেউ কাঁদতে দেখেছেন বলে শুনিনি। গুলশানের বাড়ি বহাল আছে, ছাড়েননি। সকল দোষ তিনি সরকারের উপর চাপিয়েছেন। সরকার শুধু আদালতের রায় বাস্তবায়ন করেছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা একসাথে কেউই দুইটি বাড়ি পেতে পারেনা। উহাই নিয়ম, আইন। খালেদা জিয়া জেনেশুনে এই আইন অমান্য করে অন্যায় করেছেন। পক্ষান্তরে তিনি শেখ রেহানাকে প্রদত্ত একটি মাত্র বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করেছেন, সেখানে থানা করেছেন এবং নিজে থানার উদ্বোধন করেছেন। কত হীনমন্যতা থাকলে এ কাজ করা সম্ভব। একটি থানা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী; পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম ও শেষ দৃষ্টান্ত।  শেখ হাসিনা তো তাকে প্রদত্ত বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং নিজের পৈত্রিক বাড়ি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ট্রাস্ট করে জনগণের মধ্যে বিলিয়ে দিয়েছেন। জাতির জনক হত্যার আসল সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমান হত্যার পর তার বিধবা স্ত্রী ও তার সন্তানগণ সরকারের কত অর্থ সম্পদ ও সুবিধা অনুদান হিসেবে গ্রহণ করেছেন তার হিসেব এদেশের জনগণ জানেনা। জনগণের সম্পদ একজন ব্যাক্তির গ্রাস করার এমন উদাহরণ আর আছে বলে জানা নেই। তিনি অপ্রদর্শিত আয়ের কর দিয়েছেন এবং সৌদি আরব ভ্রমণের সময় অগণিত সুটকেস ভর্তি অর্থ ও সম্পদ পাচার করেছেন বলে প্রকাশ। লোকে বলে পাচারকৃত এই সম্পদ এবং অন্যান্যভাবে পাচারকৃত বহু সম্পদ দিয়ে তার সন্তানদ্বয় এখন রাজার হালে বিদেশে কালাতিপাত করছেন। এমন ভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে খুব কম মানুষেরই জš§ হয়েছে। পক্ষান্তরে ২০০১ সনে তিনি ক্ষমতায় এসেই অকারণে শত শত মুক্তিযোদ্ধা চাকুরিজীবীদের চাকুরি খেয়েছেন। তাদেরকে নিঃস্ব করেছেন, অসহায় জীবন যাপনে বাধ্য করেছেন। আর তিনি জনগণের পয়সায় বিলাসবহুল জীবন কাটিয়েছেন। এদেশের জনগণ এসব ভুলে যায়নি। এইসব চাকুরিচ্যুত কর্মকর্তাগণ অনেকেই জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আজও ধুকে ধুকে কালাতিপাত করছেন। দেশ ও জাতিকে এদের অনেক দেওয়ার ছিল। জীবনের মূল্যবান সময়টুকু তাঁরা দেশসেবা হতে বঞ্চিত হলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস।

বর্তমান সরকার ৫ বছরের জন্য নিয়োজিত হয়েছেন। সামনে দেড় বছরের মতো সময় আছে। সরকার একটি নির্বাচনী অঙ্গীকারনামা দিয়েছিলেন। নির্বাচনী অঙ্গীকার কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে জানিনা। দিন বদলের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সরকার অঙ্গীকারাবন্ধ। ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখিয়েছে সরকার। সামগ্রিক কর্মকান্ড কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে তার হিসেব নিকেশের পালা এখন। কৃষিতে, শিক্ষায়, সমূদ্র বিজয়ে, তথ্য প্রযুক্তিতে আশাব্যঞ্জক সফলতা আছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে দ্রুত সফলতা আনায়ন করতে হবে। মানুষের প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির দূরত্ব আছে। পরাজিত শক্তি গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সরকার উহা অনুধাবন করতে পারছে কি? না হলে হুশিয়ার, সাবধান। কথাবার্তা বলতে হবে রাষ্টনায়কোচিত। অনাহুত বেঁফাস কথা বলে বিতর্কের সৃষ্টি করা রাজনীতিবিদের কাজ হতে পারেনা। যে আশায় এদেশের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। মানুষের মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান ও বিদ্যুতের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। নতুন প্রজš§ চেয়ে আছে সামনের দিকে। ২০১৪ সনের ভোটারগণ একটি আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ চায়। নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন না হলে মানুষ মুখ ফিরিযে নেবে।  সেজন্য প্রয়োজন একটি দক্ষ জনপ্রশাসন এবং একটি ত্যাগী কমিটেড মন্ত্রীসভা। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় বহু লেখা ছাপা হয়েছে। সরকার প্রধান উহা উপলব্ধি করতে পারছেন কিনা জানিনা। সময় অত্যন্ত কম। ২০০১-২০০৬ এর সরকারের দুঃশাসনের ছবি গুলি জনগণ ভুলে যায়নি। সেই অরাজকতা হতে শিক্ষা নিতে হবে রাজনীতিবিদদের। গড়ে তুলতে হবে একটি জনকল্যাণকামী সরকার। সর্ষের ভিতর ভুতদের তাড়াতে হবে —নইলে নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হবেনা। প্রতি পদে পদে স্যাবটেজ হবেন। বিদ্যুৎ সেক্টর উহার একটি জলন্ত উদাহরণ। ১৯৭৫ সনে জাতির জনককে হত্যা করে হত্যাকারীরা দেশকে অনেক ধ্বংস করেছে। জনগণ আর ধ্বংস চায়না। ১৯৯৬ এ জনগণ স্বপ্ন দেখেছে, জাতির জনক হত্যাকারীদের বিচার করতে পেরেছে। ষড়যন্ত্রের নীল নকসায় ২০০১ এ পরাজিত হয়েছে। ২০০৮ এর নির্বাচনে জনগণ আবার স্বপ্ন দেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বিপুল বিজয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। এ দেশের দুঃখী মানুষ স্বপ্ন দেখছে একটি সুন্দর সুখী বাংলাদেশের। এই যুদ্ধে, এই স্বপ্নে আমাদের জয়ী হতেই হবে। অতএব, যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হউক এ বছরই। নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হউক অতিদ্রুত। প্রজš§ থেকে প্রজš§ান্তরে গর্জে উঠুক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনির্বান শিখা। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সারা বাংলায় গর্জে উঠুক জাতির জনকের বজ্রকণ্ঠ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। কালনাগিনীরা এখন অনেক সরব, নিত্য নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এদের সকল বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে। সেই কৌশল, সেই রাজনীতি বুঝতে হবে। সামগ্রিক কর্মকান্ডকে সেভাবে পরিচালিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানুষদের পরামর্শ হতে শিক্ষা নিতে হবে। একজন ড. ইউনুস, স্যার ফজলে হোসেন আবেদ, ব্যারিস্টার রফিকুল হক, ড. কামাল হোসেন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক রেহমান সুবহান, বিচারপতি হাবিবুর রহমান, সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান ও সুলতানা কামাল স্ব স্ব ক্ষেত্রে উজ্জ্বল তারকা। দেশ ও জাতির কল্যাণে আশা করি এরা পিছ পা হবেন না, সৎ বুদ্ধি দেবেন। তাদের পরামর্শ নিতে অসুবিধা কোথায়? একাত্তুরের পরাজিত শক্তি ১৫ আগষ্টের ঘাতক বাহিনী, ২১ আগষ্ট এর ঘাতক বাহিনী, জঙ্গী মৌলবাদ, রাজাকার, আলবদর, যুদ্ধাপরাধীরা এখন সব একজোট এবং সরকার পতনের আন্দোলনে বদ্ধপরিকর। সকল ষড়যন্ত্র কাটিযে সরকারকে মাথা উচু করে দাঁড়াতে হবে। দুর্যোগ কাটানোর একমাত্র পথ সুশাসন, আলোকিত প্রশাসন, জনগণের কল্যাণ সাধন ও অতিকথন বন্ধকরণ। ফুল দিয়ে মালা হয়, অতি কথায় সৃষ্টি হয় ময়লা। আমাদের রাজনীতি হোক ফুলের মালায় সুগন্ধি ছড়িয়ে, কাঁটা দিয়ে নয়। মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তির পরাজয় মানে দেশ ও জাতির পরাজয়। এদেশের আবালবৃদ্ধবনিতা ১৯৭১ সনে বজ্রকণ্ঠের আহ্বানে সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে, পাকিস্তানী প্রেতাত্মাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, রক্ত দিয়ে ছিনিয়ে এনেছে প্রাণপ্রিয় স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে হবে, অর্থবহ করতে হবে এবং দুঃখী মানুষের মুখে ফুটাতে হবে অনাবিল হাসি। এ যুদ্ধে জয়ী হতেই হবে। আগামী প্রজš§ এই আশায় চেয়ে আছে সরকারের দিকে। আমরা যুদ্ধ করেছি আর গেয়েছি “একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে আমরা যুদ্ধ করি”। এখন প্রজš§ থেকে প্রজš§ান্তরে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হোক জয়বাংলার অমর শ্লোগান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোন ক্ষয় নেই, মৃত্যু নেই। এই চেতনা প্রজ্জ্বলিত থাকবে যুগ হতে যুগে। শতাব্দী হতে শতাব্দীকাল, আবহমানকাল। সকল ভুলভ্রান্তি শোধরিযে নৌকার পালে বসন্তের হাওয়া লাগান হে কান্ডারীগণ। বন্ধকরুন অতিকথন ও বাজেকথন। একটি আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে লক্ষ শহীদের ও জাতির জনকের রক্তের ঋণ শোধ করুন।

(লেখক সাবেক সচিব)

পাঠক মতামত