বিচারককে পেটানোর ঘটনায় নরসিংদীর পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসি এবং ওসিকে (ডিবি) তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামি ২০ জুন আদালতে হাজির হয়ে তাদেরকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে সোমবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফরিদ আহম্মদ ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসি ও ডিবি পুলিশের ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মহিউদ্দীন শামীম।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ সভাপতি কে এম সাইফুদ্দিন ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু।
আদেশের পরে কে এম সাইফুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, পত্র পত্রিকায় আপনারা দেখেছেন পুলিশ বিচারককে হেলমেট দিয়ে পিটিয়েছে। এটা খুব খারাপ কাজ। বিচারক না হোক, কোনো সাধারণ লোকের সঙ্গেও পুলিশ খারাপ আচরণ করতে পারবে না। এটা মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
উল্লেখ্য, রোববার নরসিংদী জেলা আদালতে চাঞ্চল্যকর পৌর মেয়র লোকমান হোসেন হত্যা মামলার আসামিদের হাজিরা ছিল। এজন্য আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
এরই অংশ হিসেবে আদালতের মূল ফটকে পুলিশ সবাইকে তল্লাশি করে। তখন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ- ২ এর বিচারক মো. ইমান আলী শেখ রিকশায় করে আদালতের মূল ফটকের সামনে এলে পুলিশ তাকে তল্লাশি করতে চায়।
এ সময় তিনি নিজেকে বিচারক হিসেবে পরিচয় দেয়। তখন পুলিশ সদস্যরা তাকে পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশ করতে না দিলে তিনি বাধ্য হয়ে পরিচয় পত্র ব্যাগ থেকে বের করার সময়ই অন্য পুলিশ এসে এখানে তর্ক হচ্ছে কেন বলে বিচারককে হেলমেট দিয়ে আঘাত করে।
এ সময় ওই পুলিশের সঙ্গে আরও দুই পুলিশ বিচারকের গায়ে হাত তোলে। বিশৃঙ্খলা দেখে নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ এগিয়ে আসেন। এবং বিচারকের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে আদালতে যেতে সাহায্য করেন।